কলকাতা: শহরের একটি তাত্ত্বিক আলোচনা সভায় উঠে এল লেখকদের লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব ও বইয়ে নারী চরিত্রের চিত্রায়ন বিষয়টি, আর সেখানেই উঠে এল সেই প্রবণতা পরিবর্তনের প্রসঙ্গও। চার জন্য প্যানেল সদস্যের একজন পিউ কুণ্ডু বলেন, বেশিরভাগ পাবলিশিং হাউসের সম্পাদকেরা নারী কিন্তু মার্কেটিংয়ের মাথায় যাঁরা রয়েছেন তারা এই ইন্ডাস্ট্রিকে চালান। ‘‘আমার একটি স্ক্রিপ্ট সম্পাদকেরা খুব প্রশংসা করেছিলেন, কিন্তু পাবলিশিং হাউস বললো প্রোটাগনিস্টের বয়স আরও কমিয়ে দিতে।''— বললেন পিউ। পিউয়ের এরোটিক নভেল ‘সীতা'স কার্স, দ্য ল্যাঙ্গুয়েজ অফ ডিজায়ার' এর রিভিউ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের মরসুমে কেন দুবাই পাড়ি দিলেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা, জানেন কি?
অনুষ্ঠানে বিদ্বজনেরা
লিঙ্গ পক্ষবাতিত্ব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জনপ্রিয় বাঙালি লেখিকা অনিতা অগ্নিহোত্রী বলেন, একজন প্রখ্যাত পুরুষ লেখক তাঁকে একবার বলেছিলেন, মহিলাদের লেখক হওয়া সহজ কারণ খুব বেশি মহিলা লেখেন না বলে প্রতিযোগিতাও কম। ‘‘একজন মহিলা লেখকের ইন্টারভিউ নিতে বেশিরভাগ মহিলা সাংবাদিককেই পাঠানো হয়। এটা অদ্ভুৎ প্রবণতা। আমি সেই দিনের স্বপ্ন দেখি যখন পুরুষদের বিষয়ে আলোচনা করতে বসবে পুরো মহিলাদের প্যানেল।'' —বলেন অনিতা।
টিভি-র পর্দায় এ বার বাংলার নবাব ও তার বেগমের ভালোবাসার গল্প
তিনি আগামী দিনের লেখিকাদের মহাশ্বেতা দেবী ও নবনীতা দেবসেনের থেকে অনুপ্রেরণা নিতে বলেন। তিনি জানান, আগে এ ধরনের বিভাজন আরও বেশি ছিল। প্যানেলে ছিলেন প্রখ্যাত ডিজাইনার স্বরুপ দত্ত। তিনিও সাহিত্যে মহিলাদের চিত্রায়নের পরিবর্তনের পক্ষে কথা বলেন। এপিজে কলকাতা লিটারারি ফেস্টিভ্যালের ডিরেক্টর অঞ্জুম কাটিয়াল দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা এই আলোচনাসভার পৌরহিত্য করেন। এর পরে ছিল প্রভা খৈতান উওমেন্স ভয়েস অ্যাওয়ার্ড ঘোষণকারীদের নাম ঘোষণার পালা। বিজয়ীদের জানুয়ারিতে এপিজে কলকাতা লিটারারি ফেস্টিভ্যালে পুরষ্কৃত করা হবে।
বিনোদনের আরও খবর পড়ুন এখানে