মৌজপুরে সিএএ সংঘর্ষে নিহত দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লাল।
হাইলাইটস
- সিএএ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হেড কনস্টেবলের। দাবি ময়না তদন্তে
- সোমবার তাঁর ওপর হামলায় চালায় আততায়ীরা।
- প্রথমে দাবি করা হয়েছিল, পাথরের ঘায়ে মৃত্যু হয়েছে ওই কনস্টেবলের
নয়া দিল্লি: উত্তর-পূর্ব দিল্লির মৌজপুরে সিএএ (CAA) সংঘর্ষে সোমবার মৃত্যু হয়েছিল হেড কনস্টেবল রতন লালের (Delhi Police Head Constable)। সেই ঘটনার পর মঙ্গলবার প্রাথমিক ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এসেছে। সেই রিপোর্টে (Post Mortem Report) উল্লেখ, গুলিবিদ্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই পুলিশকর্মীর। ঘটনার দিন (Delhi Clash) বেলা বাড়ার পর দয়ালপুর পুলিশ স্টেশনের সামনে তাঁর ওপর হামলা চালায় আততায়ীরা। নিরস্ত্র অবস্থায় গুলি খেয়ে মাটিতেই লুটিয়ে পড়েন ওই পুলিশকর্মী। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সে সময় দাবি করা হয়েছিল পাথরের ঘায়ে প্রাণ হারিয়েছেন রতন লাল। কিন্তু সেই দাবি এদিন নস্যাৎ করে দিল ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। দিল্লির দিলশাদ গার্ডেন এলাকার গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে এই ময়না তদন্ত হয়েছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ, "মৃতের বাঁ কাঁধ ফুঁড়ে ঢুকে সেই গুলি ডান কাঁধে গিয়ে বিদ্ধ হয়েছিল। ময়না তদন্তের সময় ডান কাঁধ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে সেই গুলি।"
দিল্লিতে সংঘর্ষে মৃত বেড়ে ৯, সেনা নামাবে না সরকার, জানাল সূত্র
মঙ্গলবার নর্থ দিল্লির বুরারিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রতন লালের দেহ। রাজস্থানের শিকারা জেলায় বুধবার সম্পন্ন হবে তাঁর শেষকৃত্য। যদিও শেষকৃত্য ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। শিকারা জেলায় ওই কনস্টেবলের পড়শিরা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। সরকারি আশ্বাস ও পরিবারের একজনের চাকরি নিশ্চিত না করলে শেষকৃত্য হবে না। এমন দাবি করা হয়েছে ওই চিঠিতে।
পুলিশের দিকে বন্দুক তাক করা দিল্লির যুবক অবশেষে গ্রেফতার
এদিকে দিল্লি সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম শতাধিক। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সংঘর্ষ থামাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ। তবে, সরকারি সূত্র বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় এই হিংসা ও সংঘর্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় সরব কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি, বলিউড তারকা জাভেদ আখতার, বিশাল ভরদ্বাজ, রিচা চাড্ডারা।
শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
(আইএএনএস থেকে সংগৃহীত )