অমিত শাহ বলেন, গত ৫ বছরে কোনও নির্বাচনে জয়লাভ করেননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
হাইলাইটস
- দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে অমিত শাহ
- আগামী ২০ দিনে ২৫০টি জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের
- আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে নির্বাচন
নয়াদিল্লি: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের (Delhi Election) প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) যে তিনটি বিষয়কে বিজেপির (BJP) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বড় সাফল্য হিসেবে তুলে ধরলেন তা হল— জম্মু ও কাশ্মীরে ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নেওয়া, অযোধ্যায় রামমন্দির গড়ার প্রতিশ্রুতি পালন এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। পাশাপাশি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ‘অপশাসন' এবং ২০১৫ সালে নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে একের পর এক নির্বাচনে আপের ব্যর্থতার প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী রোড শোয়ের কয়েক ঘণ্টা পর সেখানে নির্বাচনী প্রচারে আসেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘পাঁচ বছর আগে দিল্লির মানুষ কেজরিওয়ালকে ভোট দিয়েছিলেন অনেক বিশ্বাসের সঙ্গে। আমি আজ তাঁকে মনে করিয়ে দিতে চাই তিনি তাঁর কোন কোন প্রতিশ্রুতি পালন করতে ভুলে গিয়েছেন। ১০০০ স্কুল গড়ে দেবে বলেছিলেন আপনি। ক'টা স্কুল করেছেন? কেজরিওয়াল বলেছিলেন হাসপাতাল, উড়ালপুল হবে। কিন্তু কোনও নতুন উড়ালপুল হয়নি। কোনও নতুন কলেজ হয়নি। আপনি যমুনাকেও পরিষ্কার করেননি। বরং ঘরে ঘরে থাকা কলের জলকেও নোংরা করেছেন।''
‘‘আসল টুকরে টুকরে গ্যাং'': কেন্দ্রকে আক্রমণ পি চিদাম্বরমের
কেজরিওয়ালের দুর্নীতি-দূরীকরণের প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ‘‘আপনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন আন্না হাজারের সাহায্যে। কিন্তু লোকপাল আইন আনতে পারেননি। বরং যখন মোদিজি তা নিয়ে এলেন আপনি তা এখানে কার্যকর করলেন না।''
পাশাপাশি অমিত শাহ আরও অভিযোগ জানিয়ে বলেন, দিল্লি সরকারের জন্যই জেএনইউয়ে এক অনুষ্ঠানে জাতীয়তা-বিরোধী স্লোগান দিয়েও কানহাইয়া কুমারের মতো নেতারা স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়াতে পারছেন।
CAA: "আজাদি" স্লোগান দিলেই "দেশদ্রোহী", হুঁশিয়ারি দিলেন যোগী আদিত্যনাথ
তিনি বলেন, গত ৫ বছরে কোনও নির্বাচনে জয়লাভ করেননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বারাণসী, হরিয়ানা, পঞ্জাবের নির্বাচন এবং লোকসভাতেও সব আসনে হেরেছে আপ।
এর আগে ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র তিনটি আসন পাওয়া বিজেপি এবার দিল্লি জয় করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আগামী ২০ দিনে ২৫০টি জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে নির্বাচন। ফলপ্রকাশ ১১ ফেব্রুয়ারি।