গত ৬ আগস্ট থেকে এই শুনানি শুরু হয়েছে।
নয়াদিল্লি: অযোধ্যা মামলায় ( Ayodhya case) মুসলিম মামলাকারীদের পক্ষে সোমবার আর্জি জানানো হল, হিন্দুরা ১৯৮৯ সালের আগে পর্যন্ত অযোধ্যা ( Ayodhya) নিয়ে কোনও দাবি করেনি। পাশাপাশি তাঁদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হল, ১৯৯২ সালের আগে বাবরি মসজিদ (Babri Masjid) যেমন ছিল সেভাবেই পুনর্নির্মাণ করতে হবে। আদালতে তাঁরা জানান, ‘‘আমরা চাই ১২ ডিসেম্বর, ১৯৯২ সালের আগে বিল্ডিংটি যেমন ছিল তেমন করে পুনর্নির্মাণ করা হোক।'' সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার শুনানির ৩৮তম দিনে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের নেতৃত্বে ওই পিটিশন দাখিলকারীরা বলেন, মুসলমানরা এখানকার অধিকার কখনও হারাননি এবং ১৮৮৬ সালে হিন্দুদের দাবি অস্বীকার করা হয়।
বিচারতিদের পাঁচ সদস্যদের বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই দাবির সঙ্গে অসম্মত হয়ে জানান, ‘‘বাইরের চত্বরের দখল নিয়ে ওদের (হিন্দু) সঙ্গে ক্রমাগত বাদানুবাদ হয়েছে এবং নথি থেকে সে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।''
অর্থনীতিকে বাঁচাতে রাও-মনমোহন মডেল অনুসরণের পরামর্শ অর্থমন্ত্রীর স্বামীর
মুসলিমদের প্রতিনিধি রাজীব ধবন বলেন, ‘‘হিন্দুরা বাইরের চত্বরের দাবি জানায়নি। সমস্ত তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, হিন্দুদের প্রার্থনা করার অধিকার রয়েছে এবং দখলের নয়।''
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘প্রমাণ থেকে দেখা যাচ্ছে, বৈরাগীরা বাইরের চত্বরে থাকতেন। এবং আপানাদের তরফ থেকে এই নিয়ে অভিযোগ ছিল।'' এর জবাবে রাজীব ধবন বলেন, ‘‘সমস্ত প্রশ্ন আমাদের উদ্দেশে কেবল এবং অন্যদের (হিন্দু) উদ্দেশে নয়।''
পুলিশ হেফাজতে ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা, ফাঁড়িতে আগুন ক্ষিপ্ত জনতার
এই কথা শুনে রাম লাল্লার প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী প্রতিবাদ করে বলেন, ‘‘এমন মন্তব্য নিরর্থক।''
সোমবার এই রাজনৈতিক সংবদেনশীল মামলা তার চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছে। বিচারপতিরা একমত এই মামলা ১৭ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, যিনি ওই বেঞ্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তিনি আগামী ১৭ নভেম্বর অবসর নেবেন। কাজেই তার আগে যদি এবিষয়ে সিদ্ধান্তে না পৌঁছনো যায়, তাহলে আবার পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করতে হবে।
গত ৬ আগস্ট থেকে এই শুনানি শুরু হয়েছে। দশকের পর দশক ধরে চলতে থাকা এই বিতর্কের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতার সম্ভাবনা শেষ হওয়ার পরই এই শুনানি শুরু হয়।
অযোধ্যার ২.৭৭ একর জমি নিয়েই সমগ্র বিতর্কটি। দক্ষিণপন্থীদের বিশ্বাস, এটাই রামের জন্মস্থান। ষোড়শ শতাব্দীর এই মসজিদ তৈরি করেছিলেন মোঘল সম্রাট বাবর। ১৯৯২ সালে করসেবকরা সেটি ভেঙে দেয়।
দেখুন ভিডিও