தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Aug 02, 2019

মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়েছে অযোধ্যায়, দাবি সূত্রের

অযোধ্যা সমস্যার মধ্যস্থতার প্রক্রিয়া কোনও ঐক্যমত্য তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে এক সূত্র থেকে জানা গিয়েছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

শুক্রবারই অযোধ্যা বিতর্কে মধ্যস্থতাকারীদের রিপোর্ট পর্যালোচনা করার কথা সুপ্রিম কোর্টের।

নয়াদিল্লি:

অযোধ্যা (Ayodhya) সমস্যার মধ্যস্থতার প্রক্রিয়া কোনও ঐক্যমত্য তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে এক সূত্র থেকে শুক্রবার জানা গিয়েছে। এদিনই অযোধ্যা বিতর্কে মধ্যস্থতাকারীদের রিপোর্ট পর্যালোচনা করার কথা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। সূত্রানুসারে, শীর্ষ আদালত নিযুক্ত তিন সদস্যের প্যানেল বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করেছে সমাধানের জন্য। ঐক্যমত্যের প্রস্তাব দেওয়া হলেও কোনও কোনও দল মধ্যস্থতায় রাজি হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

গত ১১ জুলাই বিচারপতিরা মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ার ব্যাপারে রিপোর্ট চান। জানিয়ে দেন ২৫ জুলাই থেকে তাঁরা ন‌িত্য শুনানির মাধ্যমে এবিষয়ে জানতে চান যদি না মধ্যস্থতায় আদৌ কোনও সাফল্যের সম্ভাবনা থাকে। গোপাল সিংহ ভিশার্দ, যিনি অন্যতম প্রধান মামলাকারী, তিনি একটি আবেদন করেন এই সমস্যার বিষয়ে। তিনি মধ্যস্থতাকা প্রক্রিয়া বন্ধ করতে বলেন। তাঁর দাবি, এ বিষয়ে তেমন কিছুই হচ্ছে না।

অযোধ্যার মধ্যস্থতাকারী প্যানেলের রিপোর্ট শুক্রবার পর্যালোচনা করবে সুপ্রিম কোর্ট

Advertisement

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গত ১৮ জুলাই তিন সদস্যের মধ্যস্থতাকারী প্যানেলকে জানায়, বৃহস্পতিবারের মধ্যে আদালতকে মধ্যস্থতার পদক্ষেপের বিষয়ে জানানোর জন্য। ওই প্যানেলের নেতৃত্বে প্রাক্তন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এফএম কালিফুল্লা। বৃহস্পতিবারই প্যানেলের তরফে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টটি সিল করা আবরণের ভিতরে রয়েছে। সেখানে ক্যামেরাবন্দি মধ্যস্থতা পদক্ষেপ রাখা আছে বলে সূত্রানুসারে জানা গিয়েছে।

গত বছর শীর্ষ আদালতের তরফে বহু দশকের অযোধ্যা সমস্যার সমাধানে একটি মধ্যস্থতাকারী প্যানেল গঠন করা হয়। দীর্ঘকালীন এই সমস্যার বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধান খুঁজতে আলোচনার মাধ্যমে কোনও রাস্তা বের করাই এই প্যানেলের কাজ। প্যানেলের বাকি দুই সদস্য হলেন আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর এবং বর্ষীয়ান আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চু।

Advertisement

ষোড়শ শতকে ন‌ির্মিত বাবরি মসজিদ ১৯৯২ সালে ভেঙে দেয় হিন্দু আন্দোলকারীরা, যাঁদের বিশ্বাস রামের জন্মস্থান অযোধ্যায় নির্মিত একটি প্রাচীন রাম মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপরে এই মসজিদ নির্মিত হয়েছে। ওই মসজিদ ভাঙার পরে সারা দেশজুড়ে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক হানাহানি। প্রায় ২,০০০ মানুষ মারা যান।

২০১০ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্ট রায় দেয়, অযোধ্যার এই বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি সমান তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লাল্লাকে। এই রায়ের বিরুদ্ধে চোদ্দোটি আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে।

Advertisement

বেঞ্চের তরফে এর সমাধানে মধ্যস্থতার কথা বলা হলেও তা মানতে নারাজ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও নির্মোহী আখড়া। কিন্তু তবু বিচারপতিরা সম্পর্কের উন্নতি কামনা করে মধ্যস্থতার দিকে এগোনোরই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বেঞ্চ জানিয়েছেন, ‘‘এটা কেবল সম্পত্তির বিষয় নয়। এটা মন, হৃদয় এবং সুস্থতার বিষয়, যদি সম্ভব হয়।''

Advertisement

এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও যে বিচারপতিরা রয়েছেন তাঁরা হলেন এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং এস আবদুল নাজির।

Advertisement