অযোধ্যা মামলা (Ayodhya case) নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় সুপ্রিম কোর্টের মধ্যস্থতাকারী প্যানেল
নয়াদিল্লি: অযোধ্যা মামলা (Ayodhya Temple-Mosque) নিয়ে জট খুলতে, সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করা মধ্যস্থতা প্যানেল যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে জয় হতে পারে হিন্দু, মুসলিম, দুপক্ষেরই, এমনটাই জানালেন সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের (Sunni Waqf Board) আইনজীবী। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী শাহিদ রিজভি (Shahid Rizvi) NDTV কে বলেন, “আমরা মধ্যস্থতাকারী প্যানেলকে আমাদের মতামত দিয়েছি, তবে আমরা মধ্যস্থতার বিস্তারিত পরিকল্পনা জানাতে পারি না, যেটি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এটা সবার জন্যই ইতিবাচক—হিন্দু ও মুসলিম, খুশি হবে”। এই মধ্যস্থতায় দুপক্ষই খুশি হবে কিনা, সে প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবী শাহিদ রিজভি বলেন, “হিন্দু ও মুসলিম, দুপক্ষেরই জয়ের মতো পরিস্থিতি”।
অযোধ্যায় বিতর্কিত জমির দাবি ছেড়ে দিতে পারে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড: সূত্র
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে মন্দির-মসজিদ নিয়ে জট তৈরি হওয়া জায়গার দাবি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, এবং জায়গাটি রামন্দিরের (Ram Temple) জন্য সরকার নিলে তাদের কোনও আপত্তি নেই, সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে মধ্যস্থতাকারী প্যানেল, বুধবার এমনটাই জানিয়েছিল NDTV.
বাবরি মসজিদের জায়গাটি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি, ওয়াকফ বোর্ড জানিয়েছে, অযোধ্যায় যে সমস্ত মসজিদগুলি রয়েছে, সেগুলির সংস্কার করবে সরকার। অন্য যে কোনও জায়গায় মসজিদ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে ওয়াকফ বোর্ড, সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে, ফলে ১৩৪ বছরের রামমন্দির-বাবরি মসজিদ নিয়ে এর ফলে জট কাটতে পারে।
অযোধ্যা মামলায় দৈনিক শুনানি শেষ সুপ্রিম কোর্টে, রায়দান স্থগিত
মধ্যস্থতাকারীদের চেষ্টার বিস্তারিত এমন দিনে প্রকাশ হয়, যেদিন, সুপ্রিম কোর্ট তার দৈনিক শুনানি শেষ করে এবং মন্তব্য করে “যথেষ্ঠ হয়েছে”।
হিন্দু এবং মুসলিম, দুতরফেই দাবি করা হয়, জমিতে ১৬ শতকের নির্মাণ করা বাবরি মসজিদ ছিল, ১৯৯২-এ হিন্দু কর্মীরা সেটি ভেঙে দেন, তাঁদের দাবি, ভগবান রামচন্দ্রের জন্মভূমি হিসেবে জায়গাটিতে যে রামমন্দির ছিল, তার ভগ্নাবশেষের ওপরেই সেই মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল। বাবরি মসজিদ ভাঙার পরে, দেশজুড়ে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়।
NDTV বাংলায় মুখোমুখি অভিনেতা প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়, দেখুন ভিডিও:
মধ্যস্থতাকারী প্যানেলে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এফএম কালিফুল্লাহ, আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর, এবং বর্ষীয়ান আইনজীবী শ্রীরাম পাঞ্চু, মার্চে তাঁরা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন এবং রিপোর্ট জমা দেন।
১৭ নভেম্বর, প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈ অবসর নেওয়ার আগে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।