Ram Janmbhoomi-Babri Masjid case-এর রায় আগামী ১ নভেম্বর এর মধ্যে যেকোনও দিন প্রদান করা হবে
নয়া দিল্লি: রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত জমি বিবাদ নিয়ে যে কোনও দিন নিজের রায় ঘোষণা করতে পারে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে বর্তমানে এই জমি মামলার (Ram Janmbhoomi - Babri Masjid case) চূড়ান্ত পর্যায়ের শুনানি চলছে। এই সময় নিরাপত্তার স্বার্থে অযোধ্যায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা, যার জেরে (Section 144) সেখানে চার বা ততোধিক ব্যক্তির জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে কার্যকর হয় ১৪৪ ধারা এবং আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানে (Ayodhya) এটি জারি থাকবে, "অযোধ্যা জমি মামলার রায় প্রত্যাশায়" সামগ্রিকভাবে গোটা "অযোধ্যার নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা স্বার্থে" এটি কার্যকর হয়। এক সপ্তাহব্যাপী দশেরা বিরতির পরে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার ৩৮ তম দিনের শুনানি হতে চলেছে। সুপ্রিম কোর্ট চাইছে ১৭ নভেম্বর ভারতের বর্তমান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের পদত্যাগের আগেই এই মামলার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছতে।
সংবাদসংস্থা এএনআই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনুজ কুমার ঝা'র মন্তব্য তুলে জানিয়েছে, "অযোধ্যা জমি মামলার রায় প্রত্যাশায় ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আসন্ন উৎসবগুলি বিবেচনায় করেই ওই ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে" ।
Ayodhya Case:১৮ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে শুনানি, প্রয়োজনে মধ্য়স্থতাও, বলল সুপ্রিম কোর্ট
"অযোধ্যায় যাঁরা বাস করছেন এবং বাইরে থেকে এখানে যাঁরা আসছেন তাঁদের সকলের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এই আদেশ জারি করা হয়েছে," শনিবার গভীর রাতে টুইট করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনুজ কুমার ঝা।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন যে একই ধরণের আদেশ ৩১ অগাস্ট, ২০১৯ থেকে কার্যকর হয় এবং বর্তমান আদেশ "পূর্ববর্তী আদেশে যে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি বাদ ছিল সেগুলি অন্তর্ভুক্ত করে" জারি করা হয়েছিল
.
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) অযোধ্যায় ১৪৪ ধারা জারির বিষয়ে নিজেদের হতাশা প্রকাশ করেছে এবং দীপাবলি উপলক্ষে ওই বিতর্কিত জমিতে মাটির প্রদীপ জ্বালানোর অনুমতি চেয়েছে।
"পুরো অযোধ্যা যখন দীপাবলীতে আলোকিত হবে, তখন রাম লাল্লা কেন অন্ধকারে থাকবে? আমরা বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে এই বিতর্কিত স্থানে প্রদীপ জ্বালানোর জন্যে অনুমতি চাইব" , বলেন মহন্ত নয়ন দাস ।
"এমনকি মুসলিমরাও বলেন হিন্দুদের কাছে অযোধ্যা তাঁদের মক্কার মতোই": সুপ্রিম কোর্ট
এর জবাবে মামলার একজন মুসলিম আইনজীবী হাজি মেহবুব বলেন যে বিতর্কিত মাজারে যদি ভিএইচপিকে প্রদীপ জ্বালানোর অনুমতি দেওয়া হয় তবে মুসলমানরাও সেখানে 'নমাজ' পড়ার অনুমতি চাইবে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর, ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত শিয়া মুসলিম মীর বাকির বাবরি মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয় এবং এর ফলে দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে।
দেখুন ভিডিও: