Ayodhya Case Verdict: প্রধান বিচারপতির সুরক্ষা বাড়িয়ে জেড ক্যাটিগরির করা হয়েছে বলে সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে।
নয়াদিল্লি: অযোধ্যা মামলার রায় (Ayodhya Verdict) শোনাবে সুপ্রিম কোর্টের যে পাঁচ বিচারপতির (five judges of the Supreme Court) বেঞ্চ, সেই বিচারপতিদের নিরাপত্তা বাড়ানো হল। ওই বেঞ্চের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। ৪০ দিনের শুনানির পর গত ১৬ অক্টোবর মামলার রায়দান স্থগিত করে দেন তিনি। ওই বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতি এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভুষণ এবং এস আবদুল নজির। প্রধান বিচারপতির সুরক্ষা বাড়িয়ে জেড ক্যাটিগরির করা হয়েছে বলে সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে। অযোধ্যায় ২.৭৭ একর জমির দাবি জানিয়েছে হিন্দু এবং মুসলিম উভয়পক্ষই, ১৯৮০ থেকেই এই ইস্যুটি রাজনৈতিক বিষয় হয়ে উঠেছে। মনে করা হয়, ষোড়শ শতকে এই মসজিদ নির্মাণ করেন মোগল সম্রাট বাবর।
অযোধ্যার ঐতিহাসিক মন্দির-মসজিদ মামলায় রায়দান শনিবার
১৯৯২-এ ১৬ শতকের বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয় দক্ষিণপন্থী সংগঠন, তাদের বিশ্বাস, ভগবান রামচন্দ্রের জন্মভূমির ওপর তৈরি পুরানো মন্দিরের ভগ্নাবশেষের ওপর করা হয়েছে সেটি। সেই সময়ে হিংসার ঘটনায় সারা দেশের ২,০০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
২০১০ সালের রায়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই বিতর্কিত জমিকে তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করে তিন মামলাকারী সানি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া ও রাম লাল্লার জন্য। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ১৪টি আপিল জমা পড়ে।
“অযোধ্যার রায় কারও হার বা জিত নয়, সম্প্রীতি রক্ষা করতেই হবে”, বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
এরপর এক মধ্যস্থতাকারী প্যানেল বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় আগস্টে। এরপর শুরু হয় শুনানি। শুনানির পরে শীর্ষ আদালত রায়দান স্থগিত করে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তির জন্য আবেদন জানিয়ে বলেছেন, অযোধ্যার রায় কারও হার বা জিত নয়।
তিনি বলেন, ‘‘আমি দেশের নাগরিকদের আবেদন জানাচ্ছি, অযোধ্যার রায়ের পরে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা আমাদের অগ্রগণ্য বিষয়।''
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোদী আদিত্যনাথ রাজ্যের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, তাঁরা যেন কোনও গুজবে কান না দেন এবং শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখেন।
তিনি এও জানান, রাজ্য প্রশাসন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখা এবং রাজ্যের মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
রায়দানের আগে উত্তরপ্রদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপক ভাবে বাড়ানো হয়েছে। ১২,০০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য।
বহুস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে অযোধ্যায়। ড্রোনের সাহায্যে এলাকার উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। অযোধ্যার পুলিশের তরফে একটি মোবাইল অ্যাপ লঞ্চ করা হয়েছে। এর সাহায্যে তারা সমস্ত কিছুর উপরে নজর রাখবে। ১৬,০০০ স্বেচ্ছাসেবী তাদের সঙ্গে কাজ করবে।
(তথ্যসূত্র: পিটিআই)