This Article is From Mar 08, 2019

শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর সহ তিন জনকে অযোধ্যা মামলা মধ্যস্থতার ভার দিল সুপ্রিম কোর্ট, ১০টি তথ্য

দশকের পর দশক ধরে চলতে থাকা অযোধ্যার জমি বিতর্ক আগামী সময়ে কোন দিকে যাবে তা এখন ঠিক করবেন সুপ্রিম কোর্টের ঠিক করে দেওয়া তিন মধ্যস্থতাকারী।

নিউ দিল্লি: দশকের পর দশক ধরে চলতে থাকা অযোধ্যার জমি বিতর্ক আগামী সময়ে কোন দিকে যাবে তা এখন ঠিক করবেন সুপ্রিম কোর্টের ঠিক করে দেওয়া তিন মধ্যস্থতাকারী। দেশের শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি, প্রবীণ আইনজীবী এবং আধ্যাত্মিক গুরুকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি করছিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সহ পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। এবার তিন মধ্যস্থতাকারী বিষয়টি দেখবেন। তাঁদের আট সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করতে হ

জেনে নিন দশটি তথ্যঃ

  1.  প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, মধ্যস্থতা হবে। আমরা এর মধ্যে  কোনও আইনি বাধা  দেখতে পাচ্ছি না। 

  2.  মধ্যস্থতার দায়িত্বে আছেন তিন জন।  সেই প্যানেলের নেতৃত্ব  দেবেন বিচারপতি ইব্রাহিম কালিফুল্লা। তাছাড়া দলে থাকছেন শ্রী শ্রী  রবিশঙ্কর এবং প্রবীণ আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চু।  তাঁরা আরও চার সদস্যকে  কমিটিতে নিতে পারবেন। আগামী শুক্রবার থেকে কাজ শুরু করবেন তাঁরা। 

  3. সুপ্রিম কোর্ট গত দু' বছর ধরে আলোচনার পক্ষে সওয়াল করে এলেও বিবাদমান পক্ষ গুলি  মানতে রাজি হয়নি। তাদের মনে হয়েছে এই প্রক্রিয়ায় সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছু হবে না।

  4. আদালতে মামলা চালানো একটি হিন্দু সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল  মধ্যস্থতার মাধ্যমে যে সূত্র বেরিয়ে আসবে  তা  দেশের বেশির ভাগ মানুষই মেনে নিতে চাইবে না। পাল্টা আদালত বলে কী হবে  ধরে নেওয়া ঠিক নয়। 

  5. এই সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন,  মধ্যস্থতার সূত্র থেকে উঠে আসা একটি সমাধান দিয়ে এত মানুষকে  ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব হবে না। 

  6. টুইটারে নিজের প্রতিক্রিয়া  দিয়েছেন শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর। তিনি লিখেছেন, এটা আমার কাছে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। সমস্ত পক্ষকে শ্রদ্ধা  করে বলছি আমাদের কাজ হবে দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা বিতর্ক মিটিয়ে  দেওয়া। আজ দায়িত্ব পেলেও অনেক দিন ধরেই রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত বিবাদ মেটাতে আলোচনার উপর জোর দিয়ে এসেছেন তিনি। 

  7. উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার ২.৭৭ একর জমি নিয়ে বিবাদ। এখন সেখানে একটি মসজিদ আছে।মনে করা হয় মুঘল সম্রাট বাবর সেটি তৈরি করেছেন। কিন্তু হিন্দু সংগঠন গুলির দাবি ওটাই রাম জন্মভূমি। ১৯৯২ সালের ৬ মার্চ  মসজিদের একটি অংশ ভেঙে দিয়েছিল কর সেবকরা। 

  8. 2010 সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বিতর্কিত  ২.৭৭ একর জমি তিনটি ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ভগবান রামলালা, নির্মোহী আখড়া এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়ায় রায় দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট।এই রায়ের বিরোধিতা করে বিভিন্ন পক্ষ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এ নিয়েই শুনানি হয়।

  9.   আটের দশকে রাম মন্দিরের আন্দোলন বিজেপিকে রাজনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল। এখনও কয়েকটি হিন্দু সংগঠন চেয়েছিল আদালতের জন্য অপেক্ষা না করে সরকার অর্ডিন্যান্স নিয়ে আসুক। তবে সেই প্রস্তাব খারিজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।  

  10.  মূল জমির ২.৭৭ একর বাদ দিয়ে কোনও সমস্যা নেই। সেটি হিন্দু  সংগঠনকে  দেওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার।               

 

 



Post a comment
.