Ayodhya case verdict: সুপ্রিম কোর্টের রায়দানকে কেন্দ্র করে শান্তিরক্ষার আবেদন করা হয়েছে দেশজুড়ে
নয়াদিল্লি: অযোধ্যা মামলার রায় পড়ছেন প্রধানবিচারপতি, আধঘন্টা সময় লাগবে, জানালেন প্রধানবিচারপতি। তিনি আরও জানালেন ঐক্যমতেই পুরো রায়। মসজিদের নীচে কোনও নির্মাণ ছিল,তবে তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি অর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, বলল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ফাঁকা জায়গায় মসজিদ তৈরি হয়নি। শেষবার নমাজ হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বরে, বললেন প্রধানবিচারপতি। তিনি জানান, প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায়, প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈসহ বাকি চার বিচারপতি সিদ্ধান্ত নেন, রায়দান করা হবে শনিবার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তারজন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল ১০.৩০টায় রায় দান করা হবে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্তও ঠিক ছিল না, কবে রায়দান করা হবে। তবে ১৭ নভেম্বর প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের অবসরগ্রণের আগেই রায়দান করা হবে বলে ঠিক ছিল। ৪০দিন শুনানির পর, ১৬ অক্টোবর রায়দান স্থগিত রাখে প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। বেঞ্চের অন্যান্য বিচারপতিরা হলেন, বিচারপতি এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ, এবং বিচারপতি এস আব্দুল নাজির।
অযোধ্যায় বিতর্কিত জমির দাবি ছেড়ে দিতে পারে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড: সূত্র
হিন্দু এবং মুসলিম, উভয় পক্ষের বিভিন্ন সংগঠনের তরফে শান্তিরক্ষার আবেদন করা হয়েছে, রায়দানের আগে শান্তিরক্ষার আবেদন জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও। সমস্ত রাজ্যকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, শুক্রবার রাতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে লখনউতে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দুটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তারমধ্যে একটি লখনউতে এবং অপরটি অযোধ্যায়, কোনওরকম পরিস্থিতির জন্য এই ব্যবস্থা করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
“তথ্য এবং প্রমাণ, বিশ্বাস নয়”, অযোধ্যা মামলা নিয়ে বললেন শীর্ষ মৌলবি
অযোধ্যায় ২.৭৭ একর জমির দাবি জানিয়েছে হিন্দু এবং মুসলিম উভয়পক্ষই, ১৯৮০ থেকেই এই ইস্যুটি রাজনৈতিক বিষয় হয়ে উঠেছে। ১৯৯২-এ ১৬ শতকের বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয় দক্ষিণপন্থী সংগঠন, তাদের বিশ্বাস, ভগবান রামচন্দ্রের জন্মভূমির ওপর তৈরি পুরানো মন্দিরের ভগ্নাবশেষের ওপর করা হয়েছে সেটি। সেই সময়ে হিংসার ঘটনায় সারা দেশের ৩,০০০ এর বেশী মানুষের মৃত্যু হয়।
সেই জায়গায় মন্দির তৈরি করতে চায় হিন্দুরা, মুসলিম সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, মসজিদের ধ্বংসাবশেষের ওপর মসজিদ তৈরির কোনও প্রমাণ নেই।
"এমনকি মুসলিমরাও বলেন হিন্দুদের কাছে অযোধ্যা তাঁদের মক্কার মতোই": সুপ্রিম কোর্ট
অযোধ্যা রায়দানের আগে, বিশিষ্ট মুসলিম ধর্মগুরু এবং বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন আরএসস এবং বিজেপি নেতারা, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভির বাড়িতে ওই বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসারে, না কোনও “অতি উৎসাহিত উদযাপন” হবে না “পরাজয়ের হাহাকার” হবে।
বৈঠক উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শাহনেওয়াজ হোসেন, তিনি বলেন, ঐক্যমতের সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা মামলার রায়।