২৯ জানুয়ারি অযোধ্যা মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে
নিউ দিল্লি: আগামী মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার শুনানি হবে না বলে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল। যে পাঁচজন বিচারপতির বেঞ্চের এই মামলাটি শোনার কথা, তাঁদের মধ্যে একজন বিচারপতি ওইদিন উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে আদালতের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিটিতে। ওই বিচারপতি এস এ বোবদে মঙ্গলবার অযোধ্যা মামলার শুনানির জন্য উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এই সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আগামী মঙ্গলবার তিনজন বিচারপতির বেঞ্চে আরও দুজন নতুন বিচারপতিকে যুক্ত করে মামলাটির শুনানির দিন ঘোষণা করেছিলেন।
কবে পরবর্তী শুনানি হবে এবং এই মামলাটির গতিপ্রকৃতি স্থির হবে, তা সিদ্ধান্ত নেবে রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন ওই বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, গত ১১ জানুয়ারি, এই মামলার বিচারপতির পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। যেহেতু তিনি নিজে অযোধ্যা মামলার সঙ্গে এক সময় আইনজীবী হিসেবে যুক্ত ছিলেন, সেই কারণেই নিরপেক্ষতার খাতিরে নিজেকে মামলাটি থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
গত শুক্রবার এই মামলার বিচারপতিদের বেঞ্চে নতুন যে দুই বিচারপতি যুক্ত হন, তাঁরা হলেন- বিচারপতি আব্দুল নাজির এবং বিচারপতি অশোক ভূষণ। এর আগেও তাঁরা এই মামলার তিন বিচারপতির বেঞ্চের সদস্য ছিলেন। যে বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। যদিও এই বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য, যাঁরা গত ১০ জানুয়ারি মামলাটি শুনেছিলেন, সেই বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এন ভি রামান্না নতুন বেঞ্চের সদস্য নন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহের হয়ে অযোধ্যা সংক্রান্ত একটি মামলায় লড়েছিলেন বলে দাবি করে নিজেকে বিচারপতিদের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি ললিত।
শাসক বিজেপি সহ অন্যান্য কয়েকটি হিন্দুত্ববাবদী ও ডানপন্থী সংগঠন চাইছে, লোকসভা নির্বাচনের আগেই যেন আদালত অযোধ্যার জমিতে নির্মাণকাজ শুরু করার অর্ডিন্যান্স জারি করে দেয়।
আপাতত সে সব কিছুও রয়ে গেল বিশ বাঁও জলে।