ওয়াকফ বোর্ড জানিয়েছে, অযোধ্যায় যে মসজিদ রয়েছে, তা সংস্কার করবে সরকার
নয়াদিল্লি: অযোধ্যায় (Ayodhya) মন্দির-মসজিদ নিয়ে বিতর্কিত এলাকার জমির দাবি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড (Sunni Waqf Board), এবং রাম মন্দিরের ( Ram Temple) জন্য সরকার জমিটি নিসে, তাদের কোনও আপত্তি নেই, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত একটি মধ্যস্থকারী প্যানেল তাদের রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাবরি মসজিদের জমির দাবি ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি ওয়াকফ বোর্ড জানিয়েছে, অযোধ্যায় যে মসজিদ রয়েছে, তা সংস্কার করবে সরকার। অন্য যে কোনও উপযু্ত জায়গায় মসজিদ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে ওয়াকফ বোর্ড, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্রে, ফলে ১৩৪ বছরের পুরানো রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ (Ram Janmabhoomi-Babri Masjid) নিয়ে জট খুলতে পারে।
অযোধ্যা মামলায় দৈনিক শুনানি শেষ সুপ্রিম কোর্টে, রায়দান স্থগিত
প্যানেল রিপোর্ট জানিয়েছে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার মসজিদ তালিকা দিতে পারে ওয়াকফ বোর্ড।
রিপোর্টে অযোধ্যা নিয়ে জাতীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান করা হয়েছে, যে কারণে, মহান্ত ধর্মদাস এবং পদুচেরির শ্রী অরবিন্দ আশ্রম থেকে জমির প্রস্তাব এসেছে বলে খবর।
এদিনই মধ্যস্থতার চেষ্টার বিস্তারিত প্রকাশ হয়, আবার এদিনই অযোধ্যা মামলা নিয়ে দৈনিক শুনানি শেষ করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, “যথেষ্ঠ হয়েছে”।
হিন্দু এবং মুসলিম, উভয়পক্ষের তরফেই দাবি করা হয়েছে, ১৯৯২-এ ভেঙে ফেলার আগে, ওই জায়গায় ১৬ শতকের বাবরি মসজিদ ছিল, এবং ১৯৯২-এর ডিসেম্বরে সেটি ভেঙে দেয় হিন্দু কর্মীরা, তাঁদের বিশ্বাস, ওই জায়গায় ভগবান রামচন্দ্রের জন্মভূমি হিসেবে সেখানে মন্দির ছিল, এবং তারই ভগ্নাবেশের ওপর মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। ওই ভয়ঙ্কর ঘটনায় দেশজুড়ে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়।
৬ ডিসেম্বর শুরু হবে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ; শুনানি শেষের আগেই ঘোষণা বিজেপি সাংসদের
মঙ্গলবার বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা “রাম লালা বিরাজমান” পক্ষের আইনজীবী কে পরাশরন, যুক্তি দেন, “শুধুমাত্র অযোধ্যাতেই ৫০-৬০টি মসজিদ রয়েছে। তবে হিন্দুদের জন্য, এটি রামের জন্মভূমি...আমরা জন্মভূমি পরিবর্তন করতে পারি না”।
ওয়াকফ বোর্ডের তরফে দেওয়া প্রস্তাব মেনে নিয়েছে বাকি পক্ষরাও। তবে নির্বাণী আখরা, দ্বারকার শঙ্করচার্য এবং হিন্দু মহাসভা প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কিনা।
মধ্যস্থতাকারী প্যানেলে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এফএম কালিফুল্লা, আধ্যাত্মিক গুরু শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর এবং বর্ষীয়ান আইনজীবী শ্রীরাম পাঞ্চু. মার্চে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন তাঁরা।
আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন:
বুধবার সকালে রিপোর্ট জমা দেন বিচারপতি কালিফুল্লা, তবে এদিন তা উল্লেখ করেননি প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
আগামী মাসে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানেই মধ্যস্থতাকারীদের রিপোর্টের ছাপ থাকবে। ১৭ নভেম্বর অযোধ্যা নিয়ে রায় দিতে পারেন প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈ।