অযোধ্যাকে নতুনভাবে দেশের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সবরকম প্রয়াস করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
নয়াদিল্লি: আর মাত্র একটি রাতের অপেক্ষা, রাত পোহালেই বুধবার অযোধ্যায় (Ayodhya) রামমন্দিরের (Ram Temple) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, তার আগে সবরকম ভাবে সেজে উঠছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বহু চর্চিত এই শহর। তারমধ্যে হয়েছে নতুন বিমানবন্দর, ঝাঁ চকচকে রেলস্টেশন। রামমন্দিরের শহর অযোধ্যাকে সাজিয়ে তুলতে ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। অযোধ্যাকে নতুনভাবে দেশের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সবরকম প্রয়াস করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ২০২৪ নাগাদ মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হলে সেই পথে অনেকটাই সাফল্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সরকার।
অযোধ্যাকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার প্রকল্পের তালিকায় নতু বিমানবন্দরের পাশাপাশি রয়েছে রেলস্টেশন থেকে শুরু করে জাতীয় সড়ক এবং স্থানীয় পর্যটনকেন্দ্রগুলিও সাজিয়ে তোলা। এখন আপাতভাবে ভিআইপি অতিথিদের জন্য একটি অস্থায়ী বিমান ওঠানামার জায়গা করা হয়েছে। যদিও সেটিকেই বিমানবন্দরের রূপ দেওয়া হবে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
২৫০ কোটি টাকা খরচে সাজিয়ে তোলা হবে জাতীয় সড়ক। জল সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে ৫৪ কোটি টাকা খরচ করা হবে। পুলিশ ব্যারাক এবং বাস স্টেশনের জন্য আরও ৭ কোটি টাকা খরচ করা হবে অযোধ্যায়।
তুলসী স্মারক আধুনিকীকরণে ১৬ কোটি টাকা খরচ করা হবে। ১৩৪ কোটি টাকা ব্যায়ে স্থানীয় রাজশ্রী দশরথ মেডিক্যাল কলেজটি সাজিয়ে তোলা হবে।
উত্তরপ্রদেশে দীর্ঘদিন ধরেই অন্যখাতে বয় রাজনীতি, তবে আপাতভাবে শহরটি স্বাচ্ছন্দ এবং উন্নয়নের দাবি রয়েছে এলাকার যুবকদের। ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজের এক পড়ুয়া বলেন, “আমরা মন্দির-মসজিদ এর ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে এসেছি”।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৩ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ৯ বছরে অযোধ্যা-ফৈজাবাদে শিল্প ইউনিটের সংখ্যা ৩৭৭ থেকে মাত্র ৫০টি বেড়ে হয়েছে ৪২৬।
২০১৮ এর নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অযোধ্যায় বিমানবন্দর ও মেডিক্যাল কলেজের ঘোষণা করেন। শহরের উপকণ্ঠে সরযু নদীর তীরে রামায়ণ সার্কিট নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের।