This Article is From Nov 08, 2019

অযোধ্যা মামলায় রায়দান ঘিরে উত্তরপ্রদেশে কড়া নিরাপত্তা

এর আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, নিরাপত্তার অংশ হিসেবে দুটি হেলিকপ্টার থাকবে লখনউ এবং অযোধ্যায় (Ayodhya)

অযোধ্যা মামলায় রায়দান ঘিরে উত্তরপ্রদেশে কড়া নিরাপত্তা

অযোধ্যা এবং রাজ্যের সমস্ত স্পর্শকাতর জেলায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে: পুলিশকর্তা

অযোধ্যা:

অযোধ্যা মামলার (Ayodhya Case) রায়দানকে কেন্দ্র করে একাধিক স্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে অযোধ্যায়, রামজন্মভূমি-বাবরি (Ramjanmabhoomi-Babri Masjid) মসজিদ জমি জট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়দানকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার জন্য নজরদারি চালানো হবে ড্রোনের মাধ্যমে। সেটা রামজন্মভূমি থানা সংলগ্ন রাম জন্মভূমিন্যাসের “কার্যশালা” হোক বা শহরের অন্যান্য যে কোনও জায়গাই হোক, দু চাকার গাড়িতে নজরদারি চালাবে পুলিশ। নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিস্তারিত জানিয়ে, অতিরিক্ত ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (আইনশৃঙ্খলা) পিভি রামশাস্ত্র পিটিআইকে বলেন, “অযোধ্যায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে, এবং রাজ্যের সমস্ত স্পর্শকাতর জেলায় ভাল ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিএপিএফ এবং পিএসি কোম্পানির জওয়ান পর্যাপ্ত পরিমাণে মোতায়েন করা হয়েছে”।

তিনি জানান, শুধুমাত্র তাঁদের সংখ্যাই বাড়ানো হয়নি, আরও উন্নতমানের সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁদের দক্ষতাও গত দুমাস ধরে বাড়ানো হয়েছে।

এছাড়াও, উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরাও পরিকল্পনা করছেন বলে জানান তিনি। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে কিনা, সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “প্রস্তুতিপর্বে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার হচ্ছে, যাতে সঠিকভাবে বাহিনী মোতায়েন করা যায়”।

তিনি বলেন, স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে ড্রোন ক্যামেরার ব্যবহার করা হবে এবং ছাদেও নজরদারি চালানো হবে যাতে পাথরের ব্যবহার না হয়।

তিনি বলেন, “গত কয়েকমাসে, নিরাপত্তাকর্মীদের দক্ষতা এবং কার্যকারিতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে”।

এনএসজি নামানো হবে কিনা, সে প্রশ্নের উত্তরে এডিজি বলেন, “সম্ভাব্য ঘটনার জন্য তাঁদের বেসেই থাকবেন এনএসজি জওয়ানরা। আমরা সন্ত্রাসদমন শাখা, বম্ব নিষ্ক্রিয়করণ শাখা এবং কুইক রেসপন্স টিম ও অশান্তি-দমন করা বাহিনী নামিয়েছি”।

পুলিশের ওই কর্তা জানান, একমাসেরও বেশী সময়, মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করার চেষ্টা করেছে পুলিশ।

তিনি বলেন, “আত্মবিশ্বাস তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে”, পাশাপাশি আরও জানিয়েছেন, এলাকায় টহলদারী চালাচ্ছে পুলিশ, এবং সমাজের বিভিন্নস্তরে, সেটা ধর্মগুরু হোক, বা ব্যবসায়ী, অথবা শিক্ষক, সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে”। তিনি বলেন, “নিরাপত্তার সুরক্ষা বোঝাতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে”।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বলতে গিয়ে এডিজি অশুতোষ পাণ্ডে বলেন, “পিএসির ৬০ কোম্পানি এবং আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ১০টি ড্রোন ক্যামেরা এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ৩০টি ক্রসিং এ থাকছে”।

ওই জায়গায় ব্যারিকেড শক্তিশালী করা হয়েছে বলেও জানান আশুতোষ পাণ্ডে।

গোটা শহরকে ৩১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে, এবং ৩৫টি সাব-সেক্টরও করা হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি জানান, যদি দর্শনার্থীর ঢল নামে, তাহলে শহরে বাইরে একটি “দাঁড়ানোর জায়গা” করা হয়েছে, যাতে দর্শনার্থীদের ধাপে ধাপে ভগবান চন্দ্রের মন্দিরে পাঠানো যায়। অযোধ্যায় ভক্তদের আসার ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানান আশুতোষ পাণ্ডে।

এর আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, নিরাপত্তার অংশ হিসেবে দুটি হেলিকপ্টার থাকবে লখনউ এবং অযোধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুলিশ ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

জরুরি পরিস্থিতিতে হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানান আধিকারিকরা।

সরকারের তরফে জারি করা চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন।

লখনউতে একটি রাজ্যস্তরের কন্ট্রোলরুম খোলারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই রিলিজে বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলায় কন্ট্রোল রুম থাকবে। আইনশৃঙ্খলা ভাঙার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

.