Read in English
This Article is From Nov 01, 2019

অযোধ্যা রায়ের আগে শান্তিরক্ষার আহ্বান হিন্দু-মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের

শুক্রবার বিকেলে অযোধ্যায় যান উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক, অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার আগে সেখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

শুক্রবার নমাজের আগে, সাধারণ মানুষের কাছে শান্তিরক্ষার আহ্বান জানালেন উত্তরপ্রদেশের শীর্ষস্তরের মুসলিম ধর্মগুরুরা।

লখনউ:

অযোধ্যা মামলায় (Ayodhya verdict) রায়দান এগিয়ে আসছে, তার আগে, শান্তিরক্ষার আহ্বান জানালেন হিন্দু-মুসলিম উভয়পক্ষের ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা।শুক্রবার নমাজের আগে, সাধারণ মানুষের কাছে শান্তিরক্ষার আহ্বান জানালেন উত্তরপ্রদেশের শীর্ষস্তরের মুসলিম ধর্মগুরুরা। লখনউতে, সেখানকার শাহি ইমাম, এএবং ইসলামিক সেন্টার ফর ইন্ডিয়ার সভাপতি এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনেল ল বোর্ডের সদস্য খালিদ রশিদ ফিরাঙ্গি মহালি, শান্তিরক্ষার আহ্বান জানান। লখনউ ইদগাহের ৫০০ জনের একটি জমায়েতে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যাই বলুক না কেন, তাকে সম্মান জানাতে হবে। কোনও উদযাপন বা প্রকাশ্য বিরোধিতা হবে না।  অন্য সম্প্রদায়ের মানুষকে আঘাত করার মতো কিছু করা যাবে না। যে কোনও মূল্যে আমাদের শান্তিরক্ষা করতে হবে”।

সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের মানে, আগামী ২৯ অক্টবর থেকে শুরু হবে অযোদ্ধা মামলার শুনানি

একটি বিবৃতিতে খালিদ রশিদ ফিরাঙ্গি মহালি বলেন, “গঙ্গা-যমুনা তেজাবের একসঙ্গে থাকার যে সাম্প্রদায়িক ঐক্য, তাকে কোনও ভাবেই নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।

Advertisement

একদিন আগেই, তাদের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। সেখানে তারা লেখে, “রায় যাই হোক, খোলা মনে সেই রায় সবার মেনে নেওয়া উচিত। রায় ঘোষণার পর, সবার দায়িত্ব, দেশের অবস্থা যেন ঠিক থাকে, তা পালন করা”।

অযোধ্যায় একটি কর্মশালা চালায় বিশ্বহিন্দু পরিষদ, যেখানে রামমন্দিরের জন্য পাথরের পিলার তৈরি করা আছে, তারাও ঘোষণা করে যে, সুপ্রিম কোর্টের রায় মাথায় রেখে নভেম্বরে তাদের সমস্ত কর্মসূচী বাতিল।

লখনউ এর শাহি ইমাম NDTV কে বলেন, “এটা খুবই উৎসাহজনক যে, সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষই শান্তি আবেদন জানাচ্ছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে বজায় থাকে, আমরা সকলে মিলে তার চেষ্টা করছি”।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে অযোধ্যায় যান উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক, ১৪দিন পরেই অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার সম্ভাবনা, তার আগে সেখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি।

অযোধ্যা মধ্যস্থতায় গররাজি মুসলিম মামলাকারীরা, শুরু নতুন জল্পনা

Advertisement

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, অযোধ্যায় গ্রামস্তরেও সভা করা হয়েছেতাদের তরফে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় উভয়সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, আগামী কয়েকদিনে, অযোধ্যায়, পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনীর বিশাল সংখ্যক জওয়ান নিযোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা পিভি রামা শাস্ত্রী বলেন, “সাধারণভাবেও, ওখানে নিরাপত্তা থাকে। আগামী কয়েকদিনে, আমরা ওখানে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠাব এবং তাঁদের প্রশিক্ষণ দেব। আমি মনে করি, আমরা এই জায়গাটিকে নিরাপদ রাখতে পারব এবং এক শতাংশও যাতে নড়চর না হয় তার ব্যবস্থা করতে পারব”। এদিন তিনিই অযোধ্যায় যান।

Advertisement