অযোধ্যার বিতর্কিত জমি (Disputed Land in Ayodhya) পাবে রাম লালা (Ram Lalla), দুদিন আগেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তারপর সোমবার, সেই জায়গায় মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট তৈরির কাজ শুরু করে দিল সরকার। সরকারী সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, শীর্ষস্তরের মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আমলা, স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রকও থাকবে সেই বোর্ডে। তারাই ট্রাস্ট গঠন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে। সূত্র মারফৎ আরও জানা গিয়েছে, সতর্কতার সঙ্গে এগোনোর জন্য বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় ভাল করে পড়ে নিয়ে, কোন কোন পক্ষকে যোগ করা যাবে তা জানতে বলা হয়েছে। আইনমন্ত্রক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালের থেকে আইন পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
২৬ নভেম্বর অযোধ্যার জমি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড
এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক বলেন, “আইন মন্ত্রক এহং অ্যাটর্নি জেনারেলের থেকে আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে যে, কীভাবে ট্রাস্ট গঠন করা হবে, যারা মিলিতভা্বে ঠিকভাবে অযোধ্যায় রামমন্দির গড়ে তুলতে পারবে”। তিনি বলেন, “হিসাব করার কাজ চলছে, তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি”। আরেক আধিকারিক বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নাকি সংস্কৃতি মন্ত্রক, কারা ট্রাস্টের নোডাল বডি হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
শনিবার ঐতিহাসিক এবং সর্বসম্মত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বিতর্কিত অংশের ২.৭৭ একর জমি যাবে রাম লালা বা ভগবান রামচন্দ্রের জন্য। ট্রাস্ট তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন মাসের সময়সীমা দেয় প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
সোমবার কেন্দ্রের প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু একটি অত্যন্ত রাজনৈতিক স্পর্শকাতর বিষয়, সেই কারণে, প্রাপ্য সময় পুরোটাই নেওয়া হবে যাতে একটি শক্তপোক্ত রাস্তা বের করা যায়।
সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক অযোধ্যা রায়ের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
“ভাল জায়গায়” ৫ একর জমি দেওয়া হয়েছে মুসলিম আবেদনকারীদের।
দীর্ঘদিনের এই মামলা অন্যতম পক্ষ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, চলতি মাসে পরের দিকে, বরাদ্দ করা জমি গ্রহণ করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাবরি মসজিদ ভাঙা হয় ১৯৯২ –এর ডিসেম্বরে, তার আগে পর্যন্ত সেই জায়গাটি রামচন্দ্রের জন্মভূমি বলে বিশ্বাস হিন্দু আন্দোলনকারীদের, সেই জমি মামলার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট
অর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা নিশ্চিত হয়েছে যে, মসজিদের আগে একটি নির্মাণ ছিল, তবে সেটি মন্দির ছিল কিনা, তা বলা হয়নি। ১,০৪৫ পাতার রায়ে, মসজিদের অধিকার থেকে মুসলিমদের অন্যায়ভাবে বঞ্ছিত করা হয়েছিল বলে মান্যতা দেয় সুপ্রিম কোর্ট।