This Article is From Nov 09, 2019

রায় "অন্যায্য", পুর্নবিবেচনা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব, বললেন মুসলিম সংগঠনের আইনজীবী

অযোধ্যায় বিকল্প জায়গার ৫ একর জমি দিতে হবে মসজিদ তৈরির জন্য, রায়ে জানিয়েছে প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ

মুসলিম সংগঠনের আইনজীবী জাফারিয়াব জিলানি বলেন, “রায় সন্তোষজনক নয়”

নয়াদিল্লি:

অযোধ্যা মামলা (Ayodhya Sitle Suit) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অসন্তুষ্ট মামলার অন্যতম পক্ষ উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড (Sunni Central Waqf Board) । শনিবার অযোধ্যা মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, রামলালার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে মন্দির নির্মাণ হবে, এবং বিকল্প ৫ একর জমি দেওয়া হবে মসজিদ নির্মাণের জন্য। বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে, তারা একটি বৈঠক করবে এবং পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মুসলিম সংগঠনের আইনজীবী জাফারিয়াব জিলানি বলেন, “আমরা মনে করি এটা অনায্য ...আমরা এই রায় মানতে পারছি না। আমরা রায়ের সব অংশের সমালোচনা করছি না”।

বিতর্কিত জমি এবং ভিতরের অংশ অন্যপক্ষকে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে জাফারিয়াব জিলানি বলেন, “সমস্ত জমি অন্য পক্ষকে দেওয়া ঠিক নয়। আমরা শীর্ষ আদালতকে সম্মান জানাই, আমাদের রায়ের সঙ্গে সহমত না হওয়ার অধিকার আছে।  অনেক মামলাতেই রায় পাল্টেছে শীর্ষ আদালত। পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানোর আমাদের অধিকার আছে”।

বিতর্কিত জমি মন্দিরের জন্য দেওয়ার রায় ব্যাখা করে আদালত বলেছে, অর্কিওলজি সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রমাণ পেয়েছে যে, মোঘল সম্রাট বাবরের ১৬ শতকের মসজিদ ফাঁকা জায়গায় নির্মাণ করা হয়নি।

১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভেঙে দেন দক্ষিণণপন্থী কর্মীরা, তাঁদের বিশ্বাস যে, ভগবান রামচন্দ্রের জম্মভূমির ওপর তৈরি করা মন্দিরের ধ্বংসাবশেষে ওপর মসজিদ করা হয়েছে।  

প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, মুসলিমরা মসজিদ পরিত্যক্ত করে দেননি এবং তাঁদের নির্মাণ থেকে বঞ্ছিত করা যাবে না।

.