Ayodhya Case Verdict: অযোধ্যা জমি মামলায় শনিবার রায়দান করে সুপ্রিম কোর্ট
নয়া দিল্লি: কয়েক দশক পুরনো অযোধ্যা জমি বিবাদ মামলায় (Ayodhya Case Judgement) সুপ্রিম কোর্ট তাঁর ঐতিহাসিক রায় ঘোষণার কয়েক মুহুর্ত পর থেকেই দেশ এবং গোটা বিশ্ব জুড়ে # হিন্দুমসুলিমভাইভাই, # রামমন্দির এবং # জয়শ্রীরাম-এর মতো হ্যাশট্যাগ টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়। বেলা সাড়ে ১২ টা নাগাদ অযোধ্যা মামলার রায় সংক্রান্ত খবরগুলি হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজত্ব করে। বিশ্বের যে সেরা ১০টি বিষয় ট্রেন্ডিং ছিল তার মধ্যে ৫টিই অযোধ্যা মামলার রায় সংক্রান্ত। পাশাপাশি এ দেশের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে ১০টি ট্রেন্ডিং বিষয়ের মধ্যে ১০টিই ছিল অযোধ্যা মামলা সংক্রান্ত। শনিবার অযোধ্যা মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট (Ayodhya case) জানায় যে, বিতর্কিত জমিটি মন্দির নির্মাণের জন্য তুলে দিতে হবে সরকারি ট্রাস্টের হাতে এবং শহরের মধ্যে থেকে “উপযুক্ত” ৫ একর জমি দিতে হবে মুসলিমদের।
# অযোধ্যা রায়দান নিয়ে ৪,৪০,০০০ এরও বেশি টুইট ভারত এবং বিশ্বের সেরা ট্রেন্ডিং ছিল। ভারতে # বাবরিমসজিদ, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড (প্রায় ৫,০০০ টুইটে এটি দিল্লিতে ট্রেন্ডিং), # রঞ্জনগগৈ এবং # অযোধ্যারায় সংক্রান্ত প্রচুর টুইট করা হয়। # জয়শ্রীরাম-এর মতো হ্যাশট্যাগ দিয়ে ৪০,০০০-এরও বেশি টুইট করা হয় এবং # রামমন্দির দিয়ে টুইট করা হয় ১,২০,০০০ এরও বেশি টুইট ।
Ayodhya Verdict Live Update: বিতর্কিত জমি দেওয়া হবে মন্দির নির্মাণের জন্য, মুসলিমদের অযোধ্যায় ৫ একর জমি, জানাল শীর্ষ আদালত
শুক্রবার একাধিক ট্যুইটে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “অযোধ্যা মামলার রায় কারও জয় বা পরাজয় নয়”, “ আমি দেশবাসীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, অযোধ্যা মামলার রায়ের পর আমাদের শান্তি ও সম্প্রীতির ঐতিহ্য যেন বজায় থাকে। অযোধ্যা রায় উপলক্ষ্যে, বহু মানুষের চেষ্টা রয়েছে, এবং অনেক সংগঠনের তরফে সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান ও চেষ্টা চালানো হয়েছে। অযোধ্যা মামলার পরেও আমাদের সৌর্হাদ্য রক্ষা করতে হবে”।
রায় "অন্যায্য", পুর্নবিবেচনা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব, বললেন মুসলিম সংগঠনের আইনজীবী
প্রায় কয়েক দশক ধরে আদালতে বিচারাধীন ছিলরাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর এই মামলাটি। ২.৭৭ একর জমি নিয়ে জট তৈরি হয়, যার দাবি জানায় হিন্দু, মুসলিম দুই সম্প্রদায়ই, এটি ছিল ৮০-এর দশকে অন্যতম রাজনৈতিক ইস্যু ছিল। ১৯৯২-সালে ১৬ শতক পুরনো এই মসজিদটি গুঁড়িয়ে দেয় দক্ষিণপন্থীরা, তাদের বিশ্বাস, ভগবান রামচন্দ্রের জন্মভূমিতে এই মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। সেই হিংসার ঘটনায় দেশজুড়ে ২০০০-এর বেশী মানুষের মৃত্যু হয়।