নাগরিকত্ব আইনকে ব্রিটিশ আমলের রাওলাট আইনের সঙ্গে তুলনা করলেন ঊর্মিলা মাতন্ডকর।
হাইলাইটস
- ঊর্মিলা মাতণ্ডকরের দাবি, ১৯১৯-এ শেষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
- এমন তথ্য পেশ করে সিএএ'র সঙ্গে রাওলাট আইনের তুলনা টানলেন ওই অভিনেত্রী
- সিএএ ও রাওলাট আইন ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়, বলেছেন তিনি
পুণে: ১৯১৯ সালে শেষ হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (World War II)। এমন বিকৃত তথ্য পেশ করে সিএএ'র (CAA) সঙ্গে রাওলাট আইনের (Rowlatt Act) তুলনা টানলেন ঊর্মিলা মাতণ্ডকর (Urmila Matondkar)। বৃহস্পতিবার এই অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ বলেন, "১৯১৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে ব্রিটিশরা জানতেন ভারতে অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাঁদের ধারণা ছিল, সেটা ভবিষ্যতে আরও বড় আকার নেবে।কারণ সদ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে। তাই সেসময় তারা রাওলাট আইন রূপায়ণ করেছিলেন।" যদিও ইতিহাস বলছে, ১৯৩৯-১৯৪৫-এর মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। গত সাধারণ নির্বাচনে মুম্বই উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের এই কংগ্রেস প্রার্থী এদিন দাবি করেছেন, রাওলাট আইন আর সিএএ, ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়।
সিএএ পাস করানো হয়েছে বাপুর স্বপ্ন পূরণ করতেই, রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের বিরোধিতায় বিরোধীরা
জানা যায়, ব্রিটিশ সংসদে পাস হওয়া রাওলাট আইন এদেশে লাগু করা হয়েছিল। যে আইনে ব্রিটিশদের অধিকার ছিল, ব্রিটিশ-বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত সন্দেহে কোনওরকম বিচার ছাড়াই যে কাউকে জেলে পোরা যাবে। এদিন তাঁকে গান্ধিজি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ওই অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদের দাবি, "বিশেষ কোনও রাষ্ট্র না, সারা বিশ্বের নেতা গান্ধিজি। যদি কেউ হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে থাকেন, সেটা একমাত্র গান্ধিজি। তাঁকে যে হত্যা করেছিল, সে মুসলিম কিংবা শিখ নয়, সে হিন্দু। এর চেয়ে বেশি আমি আর কিছুই বলব না।"
Jamia Firing: "কে টাকা দিয়েছিল জামিয়ার বন্দুকবাজকে?" প্রশ্ন তুললেন রাহুল গান্ধি
গত লোকসভা নির্বাচনে হারের পর দলীয় নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন ঊর্মিলা মাতণ্ডকর। নির্বাচনে সে ভাবে সক্রিয় ছিল না মুম্বই কংগ্রেস, এমন দাবি করে সেপ্টেম্বর দল থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।