Read in English
This Article is From Dec 01, 2019

মৃত্যুদণ্ড এই অত্যাচারের সমাপ্তি ঘটাতে পারবে না, তেলেঙ্গানা নিয়ে বললেন বাবুল সুপ্রিয়

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, যে পদে তিনি রয়েছেন তাতে ধর্ষকদের “ক্ষুদার্ত কুকুরের সামনে বা ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে” ফেলে দিতে বলা যায় না

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

মহিলারা এই ধরণের ভীতির আবহে মহিলারা জীবন কাটাচ্ছেন বলে উল্লেখ করে আতঙ্ক প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়

Highlights

  • বাবুল সুপ্রিয় বলেন, কঠোর আইনেও ধর্ষণকারীদের আটকানো যাবে না
  • “ভীতির আবহে” মহিলারা জীবন কাটাচ্ছেন বলে আতঙ্ক প্রকাশ করেন বাবুল সুপ্রিয়
  • তেলেঙ্গানায় চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন নিয়ে এই মন্তব্য কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর
নয়াদিল্লি:

হায়দরাবাদে ২৬ বছর বয়সী তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে, ধর্ষণকারীদের ফাঁসির সাজার দাবি জোরদার হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে রবিবার কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় দাবি করেন,  প্রবল চাপের মুখেও এই ধরণের কাজ চালিয়ে যাবে “নরখাদকরা”। এদিন ট্যুইটে তিনি লেখেন, “আমি মনে করি, যতই কঠিন সাজা হোক না কেন, এই ধরণের অপরাধ দমনে যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, যদি সেটা মৃত্যুদণ্ডও হয়, তাতেও তারা এই সমাজে থেকে যাবে এবং তারা তা করবে”। সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিক্রিয়া শুরু হয়, কারণ, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নয় বলে ভাবতে থাকেন তাঁর ফলোয়ার্সরা।

"ধর্ষণের আগে যুবতীকে জোর করে হুইস্কি খাইয়েছিল ওরা...": তেলেঙ্গানা প্রশাসন

উত্তরে বাবুল সুপ্রিয় জানান, এই ধরণের মতবাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা রয়েছে প্রশাসনিক পদে থাকা। তিনি বলেন, “না...আমি আমার হতাশা প্রকাশ করছি, কারণ একজন সাংসদ এবং মন্ত্রী হিসেবে, আমি বলতে পারি না যে, এই পশুরা বিচারের অধিকার রাখে না, অথবা যদি ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণ হয়, তাহলেই কাউকে কুকুরের সামনে ফেলে দেওয়া উচিত অথবা ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করানো উচিত”।

Advertisement

বুধবার রাতের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে, ২০১২ নির্ভয়াকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করেছেন অনেকেই। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয় শনিবার, গাফিলতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই তিনজন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

আগের পোস্টে, মহিলারা এই ধরণের ভীতির আবহে মহিলারা জীবন কাটাচ্ছেন বলে উল্লেখ করে আতঙ্ক প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “যখনই আমি ওই মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের কথা ভাবি, যদি আমার ওই চারজনকে জ্বালিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা থাকত। আমার দুই মেয়ে রয়েছে, বড় মেয়ের বয়স ২০ বছর এবং এটা সব জায়গায় সমান। রাতে বাড়ি ফিরত মেয়েদের দেরী হলে সব অভিভাবকদের চিন্তা হয়”।

রবিবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, যাতে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা যায়, তারজন্য ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্ট তৈরি করে শুনানি করা হবে। তাঁর ছেলে কেটি রামা রাও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আর্জি জানিয়েছেন, যাতে দ্রুত আইন সংশোধন করে ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া যায়।

পুলিশর দাবি, বুধবার রাতে এক ঘন্টার মধ্যে এই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন  করে। এক শীর্ষ পুলিশকর্তা জানান, রাত ২.৩০ নাগাদ চাট্টানপল্লী এলাকার একটি কালভার্টের নিচে ওই মহিলার দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কয়েকটি “টেকনিক্যাল বিষয়ে সূত্র” পেয়েই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের।

Advertisement
Advertisement