প্রতিটি রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে মিশনরিজ পরিচালিত এরকম সমস্ত হোমেই নজরদারি চালাতে হবে।
নিউ দিল্লি: রাঁচির মিশনরিজ অফ চ্যারিটি পরিচালিত হোম থেকে শিশু পাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিটি রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে মিশনরিজ পরিচালিত এরকম সমস্ত হোমেই নজরদারি চালাতে হবে। নারি ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী ম্যানেকা গান্ধি আরও জানিয়েছেন শুধু মিশনরিজ নয় শিশু দত্তক দেয় এমন সমস্ত সংস্থাই যাতে সিএআরএ-এর সঙ্গে যুক্ত থাকে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে অঙ্গ রাজ্য গুলির সরকারকে ।
রাঁচির মিশনরিজ অফ চ্যারিটি পরিচালিত সংস্থা নির্মল হৃদয় থেকে শিশু পাচারের অভিযোগে এক সিস্টার সহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পাচার চক্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে এ মাসের শুরুতে ওই দুজুনকে গ্রেফতার করে রাঁচি পুলিশ। তাদের দাবি বহু শিশুকেই পাচার করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় গোটা ঝাড়খণ্ড রাজ্যের আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এর সঙ্গে জড়িত বলে মনে করে পুলিশ। সেরকমই কয়েকটি জায়গায় তল্লাশিও চালানো হয়। কাজে গতি আনতে বিশেষ দলও তৈরি করে সে রাজ্যের শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত নিয়ামক সংস্থা ।
এবার এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে শুরু করল কেন্দ্র । এমনিতে বছর দুয়েক আগে পাস হওয়া জুভেলাইন জাস্টিস অ্যাক্টে বলা হয়েছে শিশুদের দত্তক দেয় এমন সবকটি সংস্থাকেই সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রেসকিউ অথরিটি বা সিএআরএ-র সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। গত বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় 2,300টি সংস্থা এই সিস্টেমের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করেছে। কিন্ত এখনও কমবেশি 4,000টি সংস্থা সে পথে হাঁটেনি। স্বভাববতই এই তথ্যে খুশি হতে পারেননি মন্ত্রী। নিজের ক্ষোভের কথাও ব্যক্ত করেছেন তিনি। এই ফারাক যাতে আর না থাকে তার জন্যই রাজ্য গুলিকে উদ্যোগ নিতে বলল ম্যানেকার মন্ত্রক। ন্যাশনাল কমিশন অফ প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস –এর তথ্য বলছে প্রায় আড়াই লক্ষ শিশু নথিভুক্ত হোম গুলিতে থাকে।