Unnao case: দ্রুত অভিযুক্তদের আটক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
হাইলাইটস
- উন্নাওয়ের ধর্ষিতা ২৩ বছরের তরুণী দগ্ধ অবস্থায় মারা গিয়েছেন হাসপাতালে
- অভিযুক্ত অন্যতম ধর্ষককে জামিন দেওয়া হয়েছিল দশ দিন আগে
- ময়না তদন্তের পর জানা গিয়েছে, অত্যধিক পুড়ে যাওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে তরুণীর
লখনউ: উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের (Unnao Rape) ধর্ষিতা ২৩ বছরের তরুণী দগ্ধ অবস্থায় মারা গিয়েছেন হাসপাতালে। তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে তাঁকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত (Unnao Rape Accused) দুই তরুণের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে একজনকে জামিন দেওয়া হয়েছিল কয়েকদিন আগে। শর্ত ছিল, সে কোনও ভাবেই সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে না। দিল্লির এক হাসপাতালে বৃহস্পতিবার নিয়ে আসা হয় ওই ধর্ষিতাকে। সেখানেই তিনি মারা যান। তাঁর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে দুই অভিযুক্ত। মার্চ মাসে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীতা তরুণী। আদালতে শুনানির জন্য যাওয়ার সময় ওই তরুণীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অভিযুক্ত দুউ ধর্ষক সহ পাঁচ জন।
গত ২৫ নভেম্বর দুই অভিযুক্তর অন্যতম শিবম দুবেকে জামিন দেওয়া হয়। লখনউয়ের এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার দশ দিনের মধ্যেই সে আরও চারজনের সঙ্গে মিলে তরুণীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ধর্ষণে গর্ভবতী ১৪ বছরের নাবালিকা
শিবমকে জামিন দেওয়ার সময় বন্ডে শর্ত হিসেবে লেখা ছিল ‘‘আবেদনকারী সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে না বা প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করবে না কিংবা কোনও ভাবেই জামিন পাওয়ার স্বাধীনতার অপব্যবহার করার চেষ্টা করবে না।''
যদিও আদালতে ওই অভিযুক্তের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী।
রাজধানী মুখর উন্নাও-প্রতিবাদে, বিক্ষোভ হটাতে জলকামান
মৃতা তরুণীর দেহ ময়না তদন্তের পর জানা গিয়েছে, অত্যধিক পুড়ে যাওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
তাঁর পরিবার জানিয়েছিল, তাঁরা চান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁদের সঙ্গে দেখা করে কথা দিন যে, অভিযুক্তদের এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে।
তেলেঙ্গানার ধর্ষণে অভিযুক্তদের এনকাউন্টার প্রসঙ্গে উন্নাওয়ের নিগৃহীতার বাবা জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গুলি করে মেরে ফেলা উচিত।
নিগৃহিতার বোন সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, ‘‘আমাদের দাবি, যোগী স্যার এখানে এসে দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিন। আমার আরও দাবি হল আমাকে একটি সরকারি চাকরি দেওয়া হোক।''
উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, তারা ২৫ লক্ষ টাকার চেক দিয়েছে নিগৃহীতার পরিবারকে। তাঁরা কুঁড়ে ঘরে বাস করেন। তাঁদের টাকা দেওয়া হয়েছিল বাড়ি নির্মাণের জন্য। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, ওই ধর্ষণের বিচার হবে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে।
মৃতা তরুণীর বাবা অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর টাকাপয়সা লাগবে না। তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে ন্যায় চান।