দেড় দশক আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জইশ- ই- মহম্মদের জনভগুই খোঁজ পেয়েছিল আমেরিকা। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের একটি ফাইল থেকে এই তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিল উইকিলিকস। ২০০৪ সালের ৩১ শে জানুয়ারির ওই ফাইলে দেখা যাচ্ছে জন্মসূত্রে পাকিস্তানের নাগরিক হাফিজ কে রহমান বালাকোটের ওই ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। ফাইলে এটাও লেখা ছিল যে ওই ঘাঁটিতে জঙ্গিদের প্রথামিক প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সমস্তটাই হয়। বিস্ফোরক তৈরি এবং ব্যবহারের কৌশলও শেখানো হয় এই ক্যাম্পেই। সেই ফাইলে বলা আছে রহমান স্বীকার করে নিয়েছিল যে তাকে আমেরিকা এবং তার সঙ্গীদের ক্ষতি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
পাক হামলায় নয়, পাইলটদের ভুলেই বিমান দুর্ঘটনা স্ট্রাইকের দাবি উড়িয়ে পাল্টা দাবি দিল্লির,
আমেরিকার বিরুদ্ধে জইশ-ই-মহম্মদের এ ধরনের কার্যকলাপ আল কায়দা সরাসরি মদত করত। 2001 সালের হামলার পর আবারো যাতে মার্কিন মুলুকে আঘাত হানা যায় চেষ্টা করতেই জইশকে আলকায়দা দায়িত্ব দিয়েছিল। নিজের সম্বন্ধে আরও অনেক কথাই জানিয়েছিল রহমান। কে বলেছিল পাকিস্তানের মৌলবিরাই তাকে সন্ত্রাসের কম্পলটে উদ্বুদ্ধ করে। প্রাথমি ক প্রশিক্ষণ হয়ে যাওয়ার পর জইশের আরও কয়েকজন জঙ্গিকে নিয়ে আফগানিস্তানের গিয়েছিল সে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিষয়ক একাধিক তথ্য ফাঁস করেছে উইকিলিকস। শুধু আমেরিকা নয় পৃথিবীর অনেক দেশেরই অত্যন্ত জরুরি তথ্য ফাঁস করেছে উইকিলিকস।
একদিন আগে আকাশ পথে হামলা চালিয়ে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই- তইবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের তিনটি জঙ্গি ঘাঁটিতে আক্রমণ করেল ভারত। সরকার জানায় জইশের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পে হামলা চালান হয়েছে। বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে জানালেন, জঙ্গিরা আবার হামলা চালাতে পারে বলে খবর ছিল। আর সেটা যাতে না হতে পারে তা নিশ্চিত করতেই ভারত হামলা চালিয়েছে।