নাগরিক বিলের প্রতিবাদে কার্ফু অমান্য করে পথে নামে জনতা
ঢাকা: নাগরিক বিলের প্রতিবাদে উত্তাল দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। প্রতিবাদে মুখর অসমে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩ জনের। গুয়াহাটিতে কারফিউ ভেঙে পথে নামে ক্ষিপ্ত জনতা। এই অবস্থায় ভারতের কাছে বাংলাদেশ হাই কমিশন সেখানকার দফতরের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বিশেষ অনুরোধ জানাল বৃহস্পতিবার।
নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে উত্তপ্ত অসমে পুলিশের গুলিতে মৃত ৩
নাগরিক বিল চালু করার আগে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, তিনি অসম, গুয়াহাটি সহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীদের অধিকার রক্ষার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব দেবেন। তারপরেও নাগরিক সংশোধনী বিল স্বীকৃতি পাওয়ায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সেখানকার অধিবাসীরা। কারফিউ অমান্য করে বিক্ষোভ দেখাতে পথে নামেন হাজার হাজার মানুষ। এরপরেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের নিরাপত্তা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলি বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব কামরুল এহসানের সঙ্গে ইতিমধ্যে বৈঠকও করেন। এহসানের অভিযোগ, "বিক্ষোভের সময় বাংলাদেশের যুগ্ম হাই কমিশনারের কনভয়ের হামলা চালায় প্রতিবাদীরা।"
এরপরেই ভারতীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে আশ্বাস জানিয়ে বলা হয়, গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের উপাচার্য ও সহকারি হাই কমিশনারের বাসভবনের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। একই সঙ্গে নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও। যদিও বাংলাদেশের তরফে বলা হয়েছে, যুগ্ম কমিশনারের কনভয়ে হামলা এবং চেকপোস্ট ভাঙা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এই ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা দুই দেশের সৌভ্রাতৃত্বের ওপর কোনও ছাপ ফেলবে না।
রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেল নাগরিকত্ব বিল, পরিণত হল আইনে
প্রসঙ্গত, নাগরিক বিলের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার গুয়াহাটির চেনসারিতে বিক্ষোভ দেখান অসংখ্য প্রতিবাদী। তাঁরা ভাঙচুর চালান রাস্তায় থাকা বেশ কিছু গাড়িতে। জ্বালিয়ে দেন চেকপোস্ট। বিমানবন্দর থেকে সেসময়েই শহরে আসছিল বাংলাদেশ যুগ্ম হাইকমিশনারের কনভয়। বিক্ষোভকারীদের ভাঙচুর থেকে রেহাই পায়নি তা-ও।