This Article is From Mar 29, 2019

ঘিঞ্জি বহুতলে নেই ফায়ার এক্সিট, ঢাকায় ২২ তলা ভবনে জ্যান্ত পুড়ে মরলেন ২৫

আগুন লাগার পরে ভয়ে পালাতে গিয়ে কমপক্ষে সাতজন মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে ঘিঞ্জি শহরের অন্যতম, ঢাকার ওই ২২ তলা বহুতল থেকে ঝাঁপিয়ে মারা যান।

ঘিঞ্জি বহুতলে নেই ফায়ার এক্সিট, ঢাকায় ২২ তলা ভবনে জ্যান্ত পুড়ে মরলেন ২৫

ভয়ে পালাতে গিয়ে কমপক্ষে সাতজন মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে ঘিঞ্জি শহরের অন্যতম, ঢাকার ওই ২২ তলা বহুতল থেকে ঝাঁপিয়ে মারা যান

ঢাকা:

এরাজ্যের স্টিফেন কোর্টের ভয়ানক স্মৃতি উস্কে দিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে ঢাকার ওই বাণিজ্যিক বহুতল ভবনে (high-rise commercial building in the Bangladeshi capital) আগুনে পুড়ে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই ভবনে পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সিট না থাকায় (no proper fire exits) দমবন্ধ হয়ে পুড়ে মারা গিয়েছেন সকলেই। ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা না বলে ‘খুন' বলেও মন্তব্য করেছেন দেশের এক মন্ত্রী। এই অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে নিহতদের মধ্যে একজন মধ্যে শ্রীলঙ্কার বাসিন্দাও রয়েছেন। আগুন লাগার পরে ভয়ে পালাতে গিয়ে কমপক্ষে সাতজন মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে ঘিঞ্জি শহরের অন্যতম, ঢাকার ওই ২২ তলা বহুতল থেকে ঝাঁপিয়ে মারা যান। 

প্রথম শিশু প্রসবের ২৬ দিন পর ফের যমজ প্রসব বাংলাদেশি মায়ের, তাজ্জব চিকিৎসকেরা

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক জুলফিকার রহমান (Julfikar Rahman, director of the Fire Service and Civil Defence) রয়টার্সকে বলেন, “এই বহুতলে কোনও উপযুক্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল। এদিকে বহুতলে অনেক অফিস এবং বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে।" তিনি আরও জানান, “এই ভবনে যদি পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সিট রইত তাহলে আটকা পড়া মানুষ বেরিয়ে আসতে পারতো। বহুতলটিতে সামান্যতম অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ছিল এবং সেগুলোও কাজ করার অবস্থায় ছিল না।" মাত্র ০.৬ মিটার এবং ১.২ মিটার প্রশস্ত এই বহুতল এতখানিই ঘিঞ্জি যে আগুন নেভাতেও ভেতরে প্রবেশ করতে বাধা পান দমকলর্মীরা। এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পরে এই বহুতলের মালিকের সঙ্গে বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স। মালিকের মোবাইল নম্বরও সুইচড অফ মিলেছে।

ঢাকা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে, তদন্তকারীরা অনুসন্ধান করে দেখছেন কীভাবে ১৮ তলা মাত্র বানানোর অনুমতি পেয়ে ২২ তলা বিল্ডিং বানালেন ওই মালিক! পাবলিক ওয়ার্ক ও আবাসন মন্ত্রী রেজাউল করিম (Public Works and Housing Minister Rezaul Karim) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের বলেন, “এটি একটি দুর্ঘটনা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড! বিল্ডিং কোড লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা তাঁরা যতই ক্ষমতাশালী হ'ন না কেন!” 

বাংলাদেশি ঠিকা শ্রমিকের ছবি ভাইরাল বিশ্বে, কী আছে তাঁর চোখের চাহনিতে?

পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি আগুনের মোকাবিলা করতে ২২ টি দমকলের সঙ্গে হেলিকপ্টারও যোগদান করে। ওই বহুতলে আটকা পড়ে থাকা কয়েকজনকে জানালা ও ছাদ থেকে বের করে আনা হয় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে। এই শহরেই এক মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন মানুষ নিহত হওয়ার একমাস পর ফের অগ্নিকাণ্ড শহরের অগ্নিনির্বাপক নিয়ম নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ফের।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.