১৯৭১ সালের বাংলাদেশের জন্মের পর এটি দেশের একাদশতম সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। নির্বাচনী প্রচারও শেষ। গোটা বাংলাদেশ পরশুদিনের নির্বাচন নিয়ে তেতে রয়েছে। মূল প্রশ্ন একটাই, ক্ষমতায় আসবে কে? বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগ কি বারবার তিনবার জিতে ফের বসবে বাংলাদেশের সিংহাসনে, নাকি, প্রধান নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে জেলে থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি বা বিএনপি? ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের জন্মের পর এটি দেশের একাদশতম সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে। ১০ কোটি মানুষ রবিবার ভোট দিয়ে নির্বাচন করবেন পার্লামেন্টের ৩০০ জন সদস্যকে। সময় রয়েছে হাতে ৪৮ ঘন্টারও কম। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তা দেখার জন্য গোটা দেশজুড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে চলেছেন৷ এবারে প্রথম ভোট দেবেন, এমন একজন হলেন জাহিদ নুর। তিনি কলেজে পড়েন। বললেন, "সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং গণতন্ত্রের পক্ষে আকর্ষণীয় ব্যাপারটি হল, প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলই এই বছরের নির্বাচনে লড়াই করবে"৷ গত বারের নির্বাচনে এমনটা দেখা যায়নি।
আওয়ামি লিগের বর্ষীয়ান নেতা সাবের হোসেন চৌধুরী বললেন, "আশা করব ভোটাররা এবারে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটদান করতে পারবেন। আমরা জেতার আশাই করছি। মানুষ যে আমাদের সঙ্গে রয়েছেন, তা আমরা জানি"।
বিরোধীদের ১৩'টি রাজনৈতিক দলের মহাজোট হয়েছে। যার নাম- জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট। সেই জোটের নেতা ৮২ বছরের কামাল হোসেন বলেন, "মানুষের কাছে আমার একটাই আবেদন। আপনারা ভয় না পেয়ে নিজের ভোটটা নিজে দিন। এটা আপনাদের সাংবিধানিক অধিকার। ভোট দিন। দেশের গণতন্ত্রের স্বপক্ষে দাঁড়ান"।
মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৮০০'র বেশি৷ নির্বাচনে লড়াই করছে ৩০'টির বেশি রাজনৈতিক দল।