খুনের ঘটনার সংখ্যা অনেক বেশি বলে দাবি মানবাধিকার কর্মীদের।
হাইলাইটস
- সব মিলিয়ে 5 কোটি 30 লক্ষ পিস মেটামরফিনের বড়ি উদ্ধার হয়েছে
- এ যাবৎ কমকরে 300 জন মাদক কারবারিকে খুনও হতে হয়েছে
- এত পরিমাণ মাদক উদ্ধার প্রশাসনের কাছে গভীর চিন্তার বিষয়
ঢাকা: বাংলাদেশ বলতেই এক সময় ইলিশ মাছ এবং শাড়ির কথা মনে হত। গোটা পৃথিবীতে এই দুটি জিনিস সবচেয়ে ভাল পাওয়া যায় বাংলাদেশে। এবার এক অন্য ‘রেকর্ড' করল পদ্মার ওপার। ২০১৮ সালে গোটা বাংলাদেশ সব মিলিয়ে ৫ কোটি ৩০ লক্ষ মেটামরফিন ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে । এ যাবৎ কম করে ৩০০ জন মাদক কারবারিকে খুনও হতে হয়েছে বলে খবর। মোট সাড়ে ষোলো কোটি লোকের দেশ বাংলাদেশে এত পরিমাণ মাদক উদ্ধার প্রশাসনের কাছে গভীর চিন্তার বিষয়। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কত বছর মে মাস থেকে এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। তারপর ধীরে ধীরে গ্রেফতার হয় অভিযুক্তরা। মোট ২৫ হাজার কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মাদকের কারবার এবং তার কারণে হওয়া খুনের ঘটনার সংখ্যা অনেক বেশি বলে দাবি মানবাধিকার কর্মীদের। তাঁদের হিসেবে শুধু তেঙ্কাফ শহরেই ৪০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই শহরটির ভৌগলিক অবস্থানও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমেই বলতে হয় এলাকাটি মায়ানমার সীমান্তের কাছে। শুধু তাই নয় রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পও হাতের নাগালে। এই পথ দিয়ে মাদকের কারবার রুখতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে হাসিনা প্রশাসন।
গোটা বিষয়টাই ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। সাম্প্রতিক কালে এশিয়ার একাধিক দেশে মাদক উদ্ধারের ঘটনা খুবই বেড়েছে। একাধিক সূত্র থেকে বিভিন্ন দেশে ঢুকে পড়ছে মাদক। মাঝে মধ্যে এই চক্রের সন্ধানও পাওয়া যায়। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে এই চক্রের লক্ষ্য কলেজ পড়ুয়ারা। বাংলাদেশেও তাঁদেরকেই লক্ষ্য করেছে কারবারিরা।