রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন হাসিনা।
হাইলাইটস
- বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার নুরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করল বিরোধীরা
- কমিশনারের আচরণে নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের
- বিরোধী দলের সদস্যরা কমিশনের একটি বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন
ঢাকা: ভোটের মুখে বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার নুরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করল বিরোধী জোট। তাদের দাবি কমিশনারের আচরণে নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে বলে তাঁর পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত। বিএনপি এবং এনইউএফ- এই দুই বিরোধী দলের সদস্যরা নির্বাচন কমিশনের একটি বৈঠক থেকে মঙ্গলবার ওয়াকআউট করেন। গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেতা- কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বক্তব্যকে সামনে রেখে এনইউএফ-এর আহ্বায়ক কমল হাসানের নেতৃত্বে কয়েকজন নুরুল হুদার সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু বৈঠক আশাপ্রদ না হওয়ায় তা থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। পাশাপাশি হুদার ইস্তফার দাবিও জানান বিরোধী নেতারা। বিএনপির মহাসচিব ইসলাম আলমগির সাংবাদিকদের জানান কমিশনারের থেকে নিরপেক্ষ আচরণ পাওয়া অসম্ভব। শুধু তাই নয় তাঁর দাবি কমিশনার বিরোধীদের কথাই শুনতে চাইছেন না।
Bangladesh Election 2018: বাংলাদেশে ভোটের খবর করতে যাওয়া সাংবাদিকদের মারধরের অভিযোগ
এ সপ্তাহেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে ১০ হাজার ৫০০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বিরোধীদের দাবি তাদের দুর্বল করতেই এভাবে গ্রেফতারি করে চলেছে হসিনা প্রশাসন। তবে পুলিশের মুখপাত্র জানান বিনা কারণে এক জনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। এর আগে রবিবার আমেরিকার তরফে হাসিনাকে বলা হয় ভোট যেন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করতে। এরপরই গ্রেফতারির সংখ্যা প্রকাশ্যে আসে। এমনিতেই রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন হাসিনা। এবার জিতলে টানা চার বার জেতার রেকর্ড হবে তাঁর। তবে বিরোধীদের দাবি নির্বাচনে জিততে ভয়ের আবহ সৃষ্টি করছেন হাসিনা। কিন্তু কমিশন কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। এই বক্তব্যকে সামনে রেখেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের ইস্তফা চাইল বিরোধী দল গুলি।