বুধবার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলো বাংলাদেশ টেলিকম্যুনিকেশন নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি)। (প্রতীকী ছবি)
ঢাকা: ভারত সংলগ্ন ৪০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে মোবাইল (Mobile) নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পড়শি বাংলাদেশ। বুধবার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল বাংলাদেশ টেলিকম্যুনিকেশন নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি)। দিন দুই আগে এই সিদ্ধান্তের পিছনে নিরাপত্তার (Security) অজুহাত দেখিয়েছিল ওই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। রবিবার, তাদের কাছে নির্দেশ এসেছিল, সীমান্তবর্তী ২০০০টি বেস ট্রান্সরিসিভার স্টেশন বা বিটিএস (BTS)-এর নেটওয়ার্ক (Network) বন্ধ রাখতে হবে। ফলে সীমান্তবর্তী ৩২টি জেলার (দুই দেশ মিলিয়ে) প্রায় এক কোটি মানুষ বিপদে পড়েন। প্রভাবিত হয় বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের গ্রামগুলিও। তার দু'দিন বাদে, অর্থাৎ বুধবার বছরের প্রথম দিনে ফের ওই এলাকার মোবাইল পরিষেবা ফিরিয়ে দিতে, পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে আর্জি জানায় বিটিআরসি। সেই সংস্থার চেয়ারম্যান জাহারুল হককে উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সে দেশের বিডিনিউজ২৪ ডট কম। পড়শি দেশের অপর একটি সংবাদসংস্থা ডেইলি ষ্টার বলেছে, এই মর্মে গ্রামীণফোন, টেলিটক, রবি আর বাংলা লিঙ্ককে ইমেল-ও করেছে বিটিআরসি।
ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করল বাংলাদেশ
সেই সংস্থার ডেপুটি ডিরেক্টর মহম্মদ সোহেল রানা এদিন ইমেলে লিখেছেন, 'অনুগ্রহ করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিটিএস পরিষেবা আবার চালু করা হোক।' এই নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তারা পরিষেবা চালু করে দিয়েছে, ডেইলি স্টারকে এমনটাই জানান রবি টেলিকম সংস্থার মুখ্য আধিকারিক শেখ সোহেল। মূলত সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের আঁচে যাতে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ না ঘটে, সেটা আটকাতেই মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, দেশের হিতের জন্য এই নির্দেশ। তাই পরবর্তী নির্দেশিকা না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবা। সেদিন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে এমন নির্দেশ দিয়েছিল বিটিআরসি।
এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়: বিজিবি প্রধান
এর আগে সে দেশের টেলি-যোগাযোগ মন্ত্রী মুস্তাফা জব্বর, এ বিষয়ে তাঁর মন্ত্রকের দায় ঝেড়ে ফেলতে বলেছিলেন, "আমরা শুধু ওপর মহলের সিদ্ধান্তকে কার্যকর করেছি। দেশের হিতে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত, যা সরকারের প্রাথমিক প্রাধান্য"। তিন-চারটি মন্ত্রক, এই পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে সে দেশের বিদেশমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, "আমরা ভারতকে বলেছি, 'তাদের দেশে অবৈধ ভাবে থাকছে, এমন বাংলাদেশিদের তালিকা আমাদের দিতে"।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)