This Article is From Oct 03, 2018

রোহিঙ্গা সমস্যায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো উচিত ভারতের: রাষ্ট্রপুঞ্জ

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক ঘটনায় যুক্ত প্রত্যেকটি ব্যক্তির কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত বলে মঙ্গলবার জানালেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ।

রোহিঙ্গা সমস্যায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো উচিত ভারতের: রাষ্ট্রপুঞ্জ

ভবিষ্যতের পৃথিবীর জন্য ভারত এক অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান গ্রহণ করতে সক্ষম।

নিউ দিল্লি:

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক ঘটনায় যুক্ত প্রত্যেকটি ব্যক্তির কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত বলে মঙ্গলবার জানালেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ। তিনি আরও বলেন যে, রোহিঙ্গা সমস্যায় বাংলাদেশকে মানবিকতার খাতিরে সহায়তা দেওয়া উচিত ভারতের।

এছাড়া, মায়ানমারের সঙ্গে এই সমস্যার সমাধানের জন্য নিজেদের প্রভাবকেও কাজে লাগাতে পারে ভারত। তাঁর কথায়, এই ধরনের ‘বৈষম্যমূলক পরিস্থিতি’র মধ্যে বিশাল সংখ্যক মানুষের জনসংখ্যাকে ধরে রাখা মানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার লক্ষ্যে বকলমে  ‘সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো’। রাষ্ট্রপুঞ্জের শীর্ষনেতৃত্ব জানায়, এই মুহূর্তে বিশ্বের যা পরিস্থিতি তাতে ভারতের অবস্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এমনকি অধুনা পৃথিবীতে চলা একাধিক গুরুতর দ্বন্দ্বের সমাধানের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক স্তরে অত্যন্ত জরুরি অবস্থান নিতে পারে।

মায়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর গত বছর কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মায়ানমার থেকে পালিয়ে যায়। সিংহভাগই আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। ভারতে আশ্রয় নেয় চল্লিশ হাজারের মতো শরণার্থী।

“রোহিঙ্গাদের মতো একঘরে হয়ে পড়া সম্প্রদায় আমি কখনও দেখিনি”, বলেন গুতারেজ। গত সোমবার নিজের প্রথম ভারত সফরে আসেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব। ‘গ্লোবাল চ্যালেঞ্জেজ, গ্লোবাল সলিউশন’ শীর্ষক সম্মেলনে বক্তৃতা দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের হাল অত্যন্ত খারাপ। তাদের কোনও সুযোগই নেই। এছাড়া, মায়ানমারের সমাজে তাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ বর্ণবৈষম্যমূলক মনোভাব কাজ করে।

“রোহিঙ্গাদের রিফিউজি করে রাখাটা আমার কর্তব্য নয়। আমার কর্তব্য রিফিউজি হিসেবে তারা যে যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তার সমাধান করা। এর থেকে বোঝা যায় রোহিঙ্গা সম্বন্ধে সকলের কী পরিমাণ নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। এছাড়া, সোশ্যাল মিডিয়াতে কয়েকজন সন্ন্যাসীর উসকানিমূলক বক্তব্যের ফলে সামগ্রিকভাবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাবের বৃদ্ধি হয়েছে। বাংলাদেশে দশ লক্ষের বেশি মানুষ রয়েছে। তাদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। ভয়ঙ্করভাবে ধর্ষণ করা হচ্ছে”, বলেন রোহিঙ্গা নিয়ে স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন আন্তোনিও গুতারেজ।    

 

.