This Article is From Dec 31, 2019

ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করল বাংলাদেশ

সীমান্ত থেকে ১ কিমির মধ্যে পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে সোমবার থেকে। এর ফলে ওই এলাকার প্রায় ১ কোটি মানুষ প্রবল অসুবিধায় পড়বেন বলে জানা যাচ্ছে।

ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করল বাংলাদেশ

সীমান্ত থেকে ১ কিমির মধ্যে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ।

ঢাকা:

ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় মোবাইল পরিষেবা (Mobile Service) বন্ধ করল বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh)। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। এর ফলে ওই এলাকার প্রায় ১ কোটি মানুষ প্রবল অসুবিধায় পড়বেন বলে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে জানা যাচ্ছে। ‘ঢাকা ট্রিবিউন' জানাচ্ছে, সীমান্ত থেকে ১ কিমির মধ্যে পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে সোমবার থেকে। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন তথা বিটিআরসি ওই অঞ্চলে পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সেদেশের টেলিকম সংস্থা গ্রামীণফোন, টেলিটক, রবি ও বাংলালিঙ্ককে। পরবর্তী নির্দেশ পাওয়া পর্যন্ত মোবাইল পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

বিটিআরসি-র এক আধিকারিক ‘ঢাকা ট্রিবিউন'-কে বলেন, এর ফলে ভারত ও মায়ানমারের সীমান্তে ৩২টি জেলার প্রায় এক কোটি মানুষ পরিষেবা পাবেন না। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘‘আমার কাছে তেমন তথ্য নেই। আমি আগে বিষয়টি জানি তারপর এনিয়ে কথা বলব।''

‘‘এক ব্যক্তি যিনি লাভ করতে ব্যবসা করেন...'': প্রশান্ত কিশোরকে আক্রমণ বিজেপির

ভারত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস করার কয়েক দিন পরেই এই পদক্ষেপ করল বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান সংখ্যালঘু শরণার্থী যারা ২০১৫ সালের আগে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে এদেশে এসেছেন, তাঁরা নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন।

গত ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মোমেন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ-প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভারতে তৈরি হওয়া কোনও রকমের ‘‘অনিশ্চিয়তা'' থেকেই প্রতিবেশী দেশের পক্ষে সমস্যা তৈরি হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে, ভারতে বসবাসকারী বেআইনি বাংলাদেশিদের তালিকা তাঁদের পাঠানোর জন্য। ১২ ডিসেম্বর ভারতে আসার কথা থাকলেও তিনি তা বাতিল করেন।

চার মাস আগে অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি প্রকাশিত হওয়ার পরে বাংলাদেশ হতাশ হয়। ভারত অবশ্য পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, এটা দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। // প্রসঙ্গত, গত ৩০ আগস্ট প্রকাশিত তালিকা থেকে বাদ যায় ১৯ লক্ষ নাগরিকের নাম। 

.