Read in English
This Article is From Apr 19, 2019

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করায় এই নির্মম পরিণতি হল ছাত্রীর!

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন এক ছাত্রী। কোনও চাপের কাছে  নতি স্বীকার করে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চাননি তিনি।

Advertisement
ওয়ার্ল্ড

প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে  যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। 

Highlights

  • ই ঘটনা ঘিরে বাংলাদেশে নিন্দার ঝড় বইছে
  • দোষীদের কঠোর শাস্তি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা
  • ব্যাপারটাকে আত্মহত্যা বলে চালাবার চেষ্টা হয় বলে পুলিশের দাবি
ঢাকা:

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন এক ছাত্রী। কোনও চাপের কাছে নতি স্বীকার করে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চাননি তিনি। আর তাই তাঁকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা ঘিরে বাংলাদেশে নিন্দার ঝড় বইছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা। নুসরত জাহান রফি নামে বছর উনিশের ওই তরুণীকে মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে গিয়ে গলায় ওড়না জড়িয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। গোটা ব্যাপারটাকে আত্মহত্যা বলে চালাবার চেষ্টা হয় বলে পুলিশের দাবি। কিন্ত সেই ছক কাজেও আসেনি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এবং ছাত্রীর কয়েকজন সহপাঠীও আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে। প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে  যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী।  মার্চ মাসে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। ঘটনায়  বিতর্কে জড়িয়েছেন পুলিশ। একটি ভিডিওয় দেখা  গিয়েছে রফির অভিযোগ নেওয়ার সময় পুলিশ আধিকারিক বলছেন এটা  তেমন কোনও বড় ব্যাপার নয়। এরপর থেকেই অভিযোগ তোলার  জন্য তাঁর উপর নানা মহল থেকে চাপ আসতে থাকে। কিন্তু রফি রাজি হননি। পরিচিতদের বারবার বলেছেন শেষ দেখে তবে ছাড়বেন।

এরই  মাঝে তাঁকে মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে যায় কয়েকজন। হাত পা বেঁধে ফেলা হয়। তখনও অভিযোগ তুলতে রাজি হননি রফি। এরপর তাঁর গায়ে কেরোসিন তেলে ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লেগে হাত পায়ের বাঁধন ছিঁড়ে যায়। কোনও রকমে ছাদ থেকে নীচে নেমে আসেন রফি। তখনই গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ আধিকারিক মহম্মদ ইকবাল  জানান প্রধান শিক্ষকের নির্দেশেই গোটা ঘটনাই ঘটেছে। আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। পরে বাকিদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।  

Advertisement

এদিকে রফির দেহের ৮০ শতাংশই পুড়ে  গিয়েছিল। কয়েক দিন লড়াইয়ের পর মৃত্যু হয় তাঁর। তবে মৃত্যুকালীন জবানবন্দীতে প্রধান শিক্ষকের নাম করে গিয়েছেন ছাত্রী। ঘটনায়  ক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলাদেশ। সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।                        

Advertisement
Advertisement