This Article is From Dec 29, 2018

নববর্ষেই ফল ঘোষণার সম্ভাবনা; রবিবার হাসিনা ও হোসেনের লড়াইয়ে প্রস্তুত বাংলাদেশ

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের পর এই নিয়ে ১১ তম লোকসভা নির্বাচনে দেশের দশ কোটি মানুষ ৩০০ আসনের লোকসভায় সংসদ সদস্য নির্বাচন করবেন

নববর্ষেই ফল ঘোষণার সম্ভাবনা; রবিবার হাসিনা ও হোসেনের লড়াইয়ে প্রস্তুত বাংলাদেশ

১৮০০ প্রার্থী, ৩০ টিরও বেশি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে (রয়টার্স)

কলকাতা:

নৌকো নাকি ধানের শিষ- কে আগামীতে বাংলাদেশ শাসনের দায়িত্ব নেবে তাই নিয়ে এখন উত্তুঙ্গে বাংলাদেশ। রোববার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মধ্যে বড় লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত দেশ।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের পর এই নিয়ে ১১ তম লোকসভা নির্বাচনে দেশের দশ কোটি মানুষ ৩০০ আসনের লোকসভায় সংসদ সদস্য নির্বাচন করবেন। বাংলাদেশের ভোট গ্রহণ শুরু হতে ৪৮ ঘণ্টারও কম সময় রয়েছে। সেনাবাহিনী সহ নিরাপত্তা বাহিনী দেশ জুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের উদ্দেশ্যে নেমে পড়েছেন।

জাহিদ নূর, কলেজ ছাত্র এবং প্রথমবার ভোট দিচ্ছেন তিনি। জাহিদ বলেন, "সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই নির্বাচনে প্রায় সব দলই অংশ নিচ্ছে। দিনের শেষে, তারা সবাই এগিয়ে আসছে এবং এটি একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে। যা প্রশংসনীয়।"

রবিবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই 'নৌকা'র সঙ্গে 'ধানের গোছা'র

আরেক তরুণ ভোটার মৌসুমী বলেন, "আমার মনে হয় ১১ তম সাধারণ নির্বাচন স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা এবং সত্যিকারের গণতন্ত্র দেখানোর প্রথম ও শেষ নির্বাচন।"

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ৮ টি দলের জোটের প্রধান মুখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে এর চেয়ে বেশি আশাজনক আর কিছুই হতে পারে না।

আওয়ামী লীগের বর্ষীয়াণ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, "আমি আশা করি, ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোট দানের অধিকার ব্যবহার করতে পারবেন। আমরা যদি জনগণের কাছ থেকে পাওয়া সমর্থনকে ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হতে দেখি তাহলে আমরা নিশ্চিতভাবেই জয়ী হব নির্বাচনে।"

বিরোধী বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়া কারাগারে। বিএনপির জন্য এই ভোটে জয় রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা প্রমাণ করার লড়াই। কারণ এটি ১৩ দলীয় বিরোধী জোট, জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট। এই দলের মুখ ৮২ বছর বয়সী বিচারপতি কামাল হোসেন।

"জনগণের প্রতি আমার আবেদন, আপনাদের অবশ্যই সাহসী হতে হবে। এই ভোট আমাদের অধিকার। এই দেশে ১৬০ মিলিয়ন মানুষ আছেন। এইভাবেই আমরা আমাদের দেশের প্রতি নিজেদের মালিকানা দেখাই।" বলেছেন হোসেন। ২৯৯ টি আসনে মারাত্মকভাবে নির্বাচনী প্রচার চলেছে। একটি আসনে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট হচ্ছে না।

১৮০০ প্রার্থী, ৩০ টিরও বেশি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এর আগে প্রচারের সময়ই সংঘর্ষের জেরে বহু মানুষ প্রাণ হারান। বিএনপি দাবি করেছে হাজার হাজার শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন নিজের কাজ করছে না।

তৃণমূলের মহাসভায় যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছি

আওয়ামী লীগের দাবি, বিএনপির ক্যাডাররা তাঁদের উপর হামলা করেছে। বেশ কয়েকটি ট্যাপ করা ফোনের কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে যাতে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করার জন্য আইএসআই-এর সঙ্গে বিএনপি নেতাদের চক্রান্ত প্রকাশ পেয়েছে। ক্ষমতাসীন দলটিও বেশ সমস্যা রয়েছে -দুর্নীতির অভিযোগ এবং প্রায় ৭০ জন বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে বেশ সমস্যায় এই দল।

প্রায় ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনীও প্রস্তুত। নির্বাচনী এলাকার কয়েকটি আসন ব্যতীত ব্যালট পেপারের মাধ্যমেই ভোট প্রদান করা হবে। ফলাফল নববর্ষের আগেই প্রত্যাশিত।

.