১২ ঘণ্টার এই বনধ চলবে সন্ধ্যা ৬ টা অব্দি
কলকাতা: ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (BJP's Barrackpore MP Arjun Singh) উপর হামলার ‘নিন্দা' করার জন্য বিজেপি সোমবার ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছিল রবিবারই। সোমবার সকালেই টিটাগড় এলাকায় সংঘর্ষ দেখা দেয় বনধকে ঘিরে। বিজেপির (BJP) বেশ কয়েকজন সমর্থক ও পুলিশ ওই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৬ টায় ব্যারাকপুর এলাকায় এই বনধ শুরু হয় কাঁকিনাড়ায় রেল অবরোধের মাধ্যমে। বিজেপি সমর্থকরা দলীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করতে শুরু করেন এবং ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। কলকাতা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে টিটাগড়ে, পুলিশ বিজেপি সমর্থকদের একটি সড়ক অবরোধ উঠিয়ে দিতে লাঠিচার্জ করে। ওই সংঘর্ষেই বেশ কয়েকজন পুলিশ ও বিজেপির দলীয় সমর্থক আহত হয়েছেন।
আক্রান্ত অর্জুন সিং, ব্যারাকপুরে বিজেপির ডাকা ১২ঘণ্টার বনধে নাজেহাল মানুষ
রবিবার, বিজেপির ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (BJP's Barrackpore MP Arjun Singh) কাঁকিনাড়া এলাকায় সংঘর্ষের সময় মাথায় চোট পেয়েছিলেন। রক্তে ভিজে যাওয়া শার্ট এবং মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থাতেই অর্জুন সিং দাবি করেন যে, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার তাঁর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন। তিনি এবং তাঁর দলের সহকর্মীরা নিকটবর্তী শ্যামনগরে বিজেপি অফিসে তাঁদের আটকানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে নাকি পুলিশ তাঁকে আক্রমণ করে।
“ওরা (তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা) আমাদের পার্টি অফিস দখল করার চেষ্টা করছিল। আমি যখন খবর পেয়ে দেখতে যাই তখন আমার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবাদ জানাচ্ছিলাম, তা সত্ত্বেও ওরা আমাকে আক্রমণ করে। পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা আমাকে মাথায় মারেন।”
রক্তাক্ত অর্জুন সিং, পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ, উত্তপ্ত শ্যামনগর
তবে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য অর্জুন সিংয়ের দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে যে, সংঘর্ষের সময় তাঁর দলের কর্মীরাই উত্তেজনার বশে পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি করছিল। ওই পাথরের আঘাতেই তিনি আহত হয়েছেন। ব্যারাকপুর অঞ্চল স্বাভাবিকভাবেই উত্তাল এবং তৃণমূল কর্মীরাও এই বনধের বিরোধিতা করে ছোট ছোট মিছিল করছে এলাকায়। বনধ চলবে সন্ধ্যা ৬ টা অবধি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে (Trinamool Congress government) আক্রমণ করে বিজেপির সাংসদ বাপুল সুপ্রিয় (BJP's Bapul Supriyo) পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন। বাবুল সুপ্রিয় টুইট করে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শাসনাধীনে পশ্চিমবঙ্গে এই হল গণতন্ত্রের হাল! তৃণমূলের গুণ্ডা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। গত তিনদিন ধরে কার্যকর্তদের হত্যা করা হচ্ছে, অর্জুন সিং দিলীপ ঘোষের উপর হামলা চলেছে, বোঝাই যাচ্ছে পশ্চিমবাংলার কী দশা।”