রাজ্যের বহু প্রান্তে রেল অবরোধ হওয়ায় সকালের দিকে ভয়ানক আতান্তরে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
কলকাতা: কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া তেমনভাবে এই রাজ্যের সাধারণ মানুষের জীবনে ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ৪৮ ঘন্টা ব্যাপী বনধের প্রথমদিনে তেমন প্রভাব পড়ল না৷ সরকারি অফিস, আইটি সেক্টর এবং বন্দরের কাজকর্ম স্বাভাবিকই ছিল আজ৷ যদিও, কিছু কিছু ব্যাঙ্কের ওপর বনধের খানিকটা প্রভাব ছিল। যার ফলে ব্যাঙ্কগুলির কয়েকটি শাখা এবং এটিএম বন্ধ ছিল আজ। চা-বাগানের কর্মীদেরও আজকের কাজকর্ম অন্যান্য দিনগুলির মতোই স্বাভাবিক ছিল। যদিও, পিএসইউ বিমা সংস্থাগুলি বন্ধ ছিল আজকে। এছাড়া, বহু বনধ সমর্থক বিক্ষোভ করতে গিয়ে গ্রেফতার হন।
বারাসাতের চাঁপাডালিতে একটি স্কুলবাসে পাথর ছোড়া হয়। যদিও, ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। বাসটির ভিতর থেকে পরে অতি সন্তর্পণে বের করে আনা হয় পড়ুয়াদের। বনধের প্রথমদিন কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় পোড়ানো হয় নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল।
বাস এবং অন্যান্য যানবাহন চলাচল আজ শহরের রাস্তায় স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রীসংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম।
যদিও, রাজ্যের বহু প্রান্তে রেল অবরোধ হওয়ায় সকালের দিকে ভয়ানক আতান্তরে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। শেষমেশ অফিসে পৌঁছাতে পারেননি অনেকেই।