Basanta Utsav: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়
হাইলাইটস
- রবীন্দ্রভারতী কাণ্ডের তদন্তে নামল কলকাতা পুলিশ
- সাইবার বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ তদন্ত দল গঠন করল তাঁরা
- বসন্ত উৎসবে কিছু তরুণ-তরুণীর বুকে-পিঠে লেখা অশ্লীল শব্দ ঘিরে বিতর্ক ছড়ায়
কলকাতা: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে (Kolkata) "বসন্ত উৎসব" ঘিরে এই বছর বিতর্কের ঝড় ওঠে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত কিছু তরুণ-তরুণীর ছবি ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের কথার সঙ্গে অশ্লীল শব্দ সহ পিঠে লিখে বসন্ত উৎসবে (Basanta Utsav) ঘুরে বেড়াচ্ছেন কয়েকজন তরুণী। ওই ছবি সর্বসমক্ষে আসার পর ঘটনার নিন্দায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। গত শুক্রবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Rabindra Bharati University) কর্তৃপক্ষ সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরে বিষয়টির তদন্তের জন্যে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করল কলকাতা পুলিশ। জানা গেছে, ওই তদন্ত দলে রাখা হয়েছে সাইবার বিভাগের কিছু উর্ধ্বতন আধিকারিককেও। "যেভাবে আরবিইউ কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের করেছে তাতে পুলিশের সেভাবে বিরাট কিছু করার নেই। তাদের অভিযোগ মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামের ক্ষতি করতেই কিছু বহিরাগত ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে... আমরা এই ঘটনাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯০ ধারায় বিবেচনা করতে পারি", জানান কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক।
জনসাধারণের মধ্যে বিরক্তি উৎপাদনকারী কোনও কাজের শাস্তি হিসাবে সাধারাণত আইপিসি ২৯০ ধারা প্রয়োগ করা হয়, এটি জামিনযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হয়।
রবীন্দ্রভারতীর দোলে খোলা পিঠে আবিরে লেখা অপশব্দ, '...চাঁদ উঠেছিল গগনে' গানে নাচ!
রবীন্দ্রভারতী কাণ্ডে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তাঁদের বেশিরভাগই বলছেন, বসন্ত উৎসবের নামে বাঙালির গর্বের রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যারা এই অশ্লীল কাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা আসলে বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে কালিমালিপ্ত করেছে। এদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্তোৎসবে যোগ দেয় বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারাও। অভিযোগ, তাঁদের মধ্যেই কিছু যুবক-যুবতী পিঠে-বুকে রং দিয়ে রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে অশ্লীল শব্দ লিখে ওই উৎসবে যোগ দেয়। সেই ছবি বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করে।
বাংলায় মহিলাদের মাদক খাইয়ে আন্দোলনে নামানো হচ্ছে: দিলীপ ঘোষ
শুক্রবারই ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে শনাক্ত করে ডেকে পাঠায় পুলিশ। ক্ষমা চাওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও রবীন্দ্রভারতীর মতো ঐতিহ্যবাহী বিশ্বিবিদ্যালয়ে এই ধরণের বিকৃত মনস্ক ঘটনায় সরব বিশ্বভারতীয় পড়ুয়া থেকে শুরু করে সব মহল।
এদিকে বসন্তোৎসবের সমস্ত অশান্তির দায় নিয়ে পদ ছাড়ার জন্য শনিবার ইস্তফাপত্র জমা দেন উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরি। যদিও তাঁর ইস্তফা গৃহীত হয়নি।