This Article is From Jul 23, 2018

গণপিটুনিতে আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে গরুদের থাকার ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ

আহত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। যেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী এনডিটিভিকে জানিয়েছে,  পুলিশ ওই আহত ব্যক্তিকেই মারধর করছিল।

এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে 3 জন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে হয়েছে

জয়পুর:

যাকে মারধর করা হয়েছিল, তাকেই প্রায় চারঘন্টা ধরে রেখে দেওয়া হয়েছিল জেল হেফাজতে। গরু পাচারকারী সন্দেহে রাজস্থানের আলোয়ারে গত শনিবার যে ব্যক্তির মৃত্যু হল গণপিটুনিতে, সেই ঘটনা সম্বন্ধে এমনই একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছে এনডিটিভি।

গণপিটুনির পর তিন ঘন্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিট ধরে তাকে রেখে দেওয়া হয়েছিল জেল হেফাজতে। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে পুলিশ গরুগুলিকে গোয়ালে পাঠানোর জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে, হাসপাতাল থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত থানাটি পরিদর্শন করে, চা খাওয়ার জন্য রাস্তায় দাঁড়ায়।

তারপর, এত কিছুর পর, ওই আহত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। যেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী এনডিটিভিকে জানিয়েছে,  পুলিশ ওই আহত ব্যক্তিকেই মারধর করছিল।

o6uu35p

পুলিশ জানিয়েছে, আঠাশ বছর বয়সী রাকবর খান হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মারা যায়। খুনের অভিযোগে আলওয়ারের লাল্লাওয়ান্ডি গ্রাম থেকে তিনজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।

5f01j2eg

 

রবিবার এনডিটিভির রিপোর্টের পর তদন্তের দায়িত্ব স্থানীয় থানা থেকে সরিয়ে তড়িঘড়ি এক পদস্থ অফিসারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই অফিসার হেমন্ত প্রিয়দর্শী জানিয়েছেন, গণপিটুনিতে আহত ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু হতে এত দেরি হল কেন, তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ।5vvle1jo

 

এনডিটিভির তদন্ত থেকে উঠে এসেছে, ওই ঘটনার প্রথম এফআইআর রিপোর্ট জানাচ্ছে, ঘটনাটি সম্বন্ধে পুলিশকে প্রথম অবগত করা হয় ফোন করে। রাত বারোটা একচল্লিশ নাগাদ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রাত একটা পনেরো থেকে একটা কুড়ির মধ্যে। একজন ডানপন্থী দলের সমর্থক নওল কিশোর, যিনি পুলিশকে ফোন করে প্রথম ঘটনাটির খবর দেন, তিনিই এনডিটিভিকে এই কথা জানান।

 

পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থলে থাকা নওল কিশোরের কথায়,  গোটা শরীর কাদায় ঢাকা থাকার জন্য পুলিশ ওই আহত ব্যক্তিকে স্নান করায়। তারপরই ওই সেখান থেকে চলে যায় তারা।

 

তারা প্রথমে দাঁড়ায় নওল কিশোরের বাড়িতে। সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া গরুগুলিকে একটি স্থানীয় গোয়ালে পাঠানোর জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে। নওল কিশোরের এক আত্মীয়া মায়া এনডিটিভিকে বলেন, গাড়ির ভিতরের অত্যন্ত গালিগালাজ করতে করতে আহত ব্যক্তিকে মারধর করছিল পুলিশ। তখনও ওই ব্যক্তি বেঁচে ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

.