শিলং: মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এ গত চৌত্রিশ বছর ধরে রয়েছেন সঞ্জনা। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময়েই তাঁর পাঞ্জাবী পূর্বপুরুষরা এই রাজ্যে চলে এসেছিলেন। এই শৈল শহরে জন্মানো এবং বেড়েওঠা সঞ্জনার। তিনি বলছিলেন গত সপ্তাহে তাঁর বাড়ির সামনে হওয়া ভয়াবহ সংঘর্ষের কথা।
মেঘালয়ের খাসি উপজাতির মানুষেরা ওই অঞ্চলের আদি বাসিন্দা নন এবং সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে এই রাজ্যে অভিবাসন নিয়ে এসেছেন এমন লোকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে চড়াও হন। এর ফলে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে ওই পাঞ্জাবী কলোনির বাসিন্দারা এখন অন্য কোথাও চলে যেতে চাইছেন প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে।
কয়েকজন খাসি উপজাতির যুবকের সঙ্গে পাঞ্জাবী কলোনির বাসিন্দাদের প্রবল ঝামেলা গত সপ্তাহে এই বিতর্কে ঘৃতাহুতি দেয়। পুলিশ এবং আধা-সেনা নামিয়েও ওই সংঘর্ষকে পুরোপুরি নাগালে আনা যায়নি।
গত শনিবারের মধ্য রাতে পাঞ্জাবী কলোনির প্রায় 200 জন বাসিন্দা তাঁদের এলাকা ছেড়ে চলে যান। আশ্রয় নেন কাছের সেনা শিবিরে। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর তাঁরা আবার নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসেন।
“আমাদের জন্ম এখানে। বড়ো হওয়া এখানে। কর্ম এখানে। মেঘালয়কে আমরা নিজেদের ভূমি বলেই মনে করি। যদিও আমরা এসেছি পাঞ্জাব থেকে। কিন্তু, থাকি তো এখানেই। এটাই তো আমাদের ঘর। আমরা কখনও ভাবিনি যে, এইভাবে আমাদের এই রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলবে”, বলেন সঞ্জনা।
কয়েকজন খাসি উপজাতির যুবকের সঙ্গে পাঞ্জাবী কলোনির বাসিন্দাদের প্রবল ঝামেলা গত সপ্তাহে এই বিতর্কে ঘৃতাহুতি দেয়। পুলিশ এবং আধা-সেনা নামিয়েও ওই সংঘর্ষকে পুরোপুরি নাগালে আনা যায়নি।
Advertisement
“আমাদের জন্ম এখানে। বড়ো হওয়া এখানে। কর্ম এখানে। মেঘালয়কে আমরা নিজেদের ভূমি বলেই মনে করি। যদিও আমরা এসেছি পাঞ্জাব থেকে। কিন্তু, থাকি তো এখানেই। এটাই তো আমাদের ঘর। আমরা কখনও ভাবিনি যে, এইভাবে আমাদের এই রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলবে”, বলেন সঞ্জনা।
Advertisement
COMMENTS
Advertisement