সাংবাদিকদের মঙ্গলবার এই সিআইডি কর্তা বলেন, প্রায় কোনও মেসেজেই লিঙ্ক ছিল না।
কলকাতা: অন লাইন গেম মোমো চ্যালেঞ্জ ইতিমধ্যেই ত্রাসের সঞ্চার করেছে। মোবাইল থেকে মোবাইলে ছড়িয়ে পড়া হাড়হিম করা ছবি আরও বেশি করে ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু ঘটনার তদন্ত চালানো সংস্থা সিআইডির দাবি এ রাজ্যে নিজের জাল বিস্তার করেনি মোমো। মোমোর খেলার আমন্ত্রণ জানিয়ে যে সমস্ত বার্তা এসেছে তার সবকটাই ভুয়ো। কেউ বা কারা বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়াতে এ ধরনের বার্তা পাঠাচ্ছে। তার কারণ বিভিন্ন মানুষের কাছে আসা হোয়াটস অ্যাপে যে কটি আমন্ত্রণ এসেছে তাতে কোনও লিঙ্ক নেই। মানে এমন কোনও ব্যবস্থা নেই যার মাধ্যমে সরাসরি খেলা শুরু করা যায়। আর তাই অকারণ আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলে মনে করেন ডিআইজি সিআইডি নিশাত পারভেজ।
সাংবাদিকদের মঙ্গলবার এই সিআইডি কর্তা বলেন, প্রায় কোনও মেসেজেই লিঙ্ক ছিল না। লিঙ্ক ছাড়া এ ধরনের মেসেছ পাঠানোর কোনও অর্থ নেই। আমাদের কাছে এখনও এমন একটাও অভিযোগ আসেনি যাতে মেসেজের সঙ্গে গেমের লিঙ্ক দেওয়া আছে। অতএব এ সমস্ত মেসেজেই ভুয়ো। তিনি জানান তদন্ত করে দেখা গিয়েছে সবকটি মেসেজই এসেছে বিদেশ থেকে।
মোমো চ্যালেঞ্জ নিয়ে আতঙ্কের সঞ্চার হতে শুরু করেছে দিন কয়েক আগে থেকে। উত্তরবঙ্গের তিনটি ঘটনাকে পাশাপাশি রাখলে আতাঙ্কিত না হওয়াটাই অস্বাভাবিক। মণিশ সারকি আর অদিতি গোয়েল। দুজনের বাড়ি কার্শিয়াঙে। দুজনেই মাত্র দিন কয়েকের ব্যবধানে আত্মহত্যা করেন। পরিবারের লোকেদের মনে হয় মৃত্যুর নেপথ্যে আছে মোমো চ্যালেঞ্জ, যার শেষ কথাই হল প্রাণ দিতে হবে। এরপর জলপাইগুড়ির এক তরুণীর মোবাইলেও আসে মোমো খেলার আমন্ত্রণ। তাঁর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সব দিক থেকে রহস্যজনক। বাড়িতে অশান্তির পর নিজের হোয়াটস অ্যাপের স্ট্যাটাস বদলেছিলেন তরুণী। লিখেছিলেন, আমি মরতে চাই। এরপরই আসে সেই বিশেষ বার্তা। একই ধরনের মেসেজ পান কলকাতার এক মহিলাও। তৈরি হয় আতঙ্কের পরিবেশ। কিন্তু রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়ে দিল আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।