নয়া দিল্লি: কথায় বলে, বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। উৎসবের তালিকা বলছে, আসলে উৎসব অসংখ্য। পুজো-পাব্বণ তো আছেই। আছে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। যা বাঙালির কাছে উৎসবেরই সামিল। কিছুদিন আগেই মহা সমারোহে হায়দ্রাবাদাদে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ষষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব। অভিনেতা নাগার্জুন উদ্বোধন করেছিলেন সেই ফেস্টিভ্যালের। সেরা উৎসব দুর্গাপুজোর ঠিক আগে এবার দিল্লির বাঙালি মেতে উঠতে চলেছে চলচ্চিত্র উৎসবে (Bangla Cine Utsab-2019)। সৌজন্যে ১২ তম বাংলা সিনে উৎসব ২০১৯। ১৯৫৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এই উদ্যোগের একটাই লক্ষ্য, বাংলা ছবির প্রচার ও প্রসার। কলকাতার থেকে দূরে থেকেও কলকাতাকে আত্মার আত্মীয় বানাতে দিল্লির প্রবাসী বাঙালিরা মিলে গত ছয় দশক ধরে আয়োজন করে আসছে এই উৎসবের।
এবারের বাংলা সিনে উৎসব শুরু হবে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে। উৎসব শেষ হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। তিন দিনের এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে দিল্লির মুক্তোধারা অডিটোরিয়ামে। উদ্বোধন করবেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। উৎসবে দেখানো হবে ১১টি পূর্ণ দৈর্ঘ্য আর ৭টি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি। অনুষ্ঠানে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, সুদেষ্ণা রায়, অভিজিৎ গুহ ইন্দ্রাশিস আচার্য, আবির চট্টোপাধ্যায়, শ্রীলা মজুমদার, রেশমী মিত্র, অনুভব কাঞ্জিলাল, মোহর চট্টোপাধ্যায়, শ্যামল দাস, শিবাঙ্গী চৌধুরী, অনুপম এবং আরও অনেক অভিনেতা-পরিচালক-প্রযোজক।
উৎসবে দেখানো হবে 'মাটি', 'সামসারা', 'শ্রাবণের ধারা', 'অব্যক্ত', 'আহা রে', 'বিজয়া', 'তারিখ', 'মুখার্জিদার বউ', 'কলকাতায় কোহিনূর', 'লাইম লাইট', 'আমি জয় চ্যাটার্জি'-র মতো জনপ্রিয় একগুচ্ছ ছবি। সমাপ্তি অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ আবির চট্টোপাধ্যায়।
বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তপন সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, প্রত্যেক আমন্ত্রিতই সানন্দে রাজি হয়েছেন উৎসবে অংশ নিতে। সব বয়সের সদস্যরাই গত ছয় দশক ধরে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে আসছেন উৎসবকে সফল করতে। ফেস্টিভ্যালের চেয়াম্যান ড. তুষার রায়ের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হবে গোটা অনুষ্ঠান।বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক দীপক ভট্টাচার্যের দাবি, প্রবাসে বসে মাতৃভূমিকে কাছে পাওয়ার এই অনন্য প্রয়াস সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আশা, বাংলা ছবি এতে আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়বে দিকে দিকে।