This Article is From Jul 21, 2019

কোন সিবিআই অফিসার তৃণমূল নেতাদের হুমকি দিয়েছেন, মমতার থেকে জানতে চাইল বিজেপি

বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, এবারের শহিদ সমাবেশে সবচেয়ে কম লোকসমাগম হয়েছে।

কোন সিবিআই অফিসার তৃণমূল নেতাদের হুমকি দিয়েছেন, মমতার থেকে জানতে চাইল বিজেপি

তৃণমূল নেতাদের হুমকি দেওয়া সিবিআই আধিকারিকদের নাম জানতে চাইলেন দিলীপ ঘোষ।

কলকাতা:

রবিবার শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, চিটফান্ড কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অনেক তৃণমূল নেতাকেই “বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ” করতে বলা হচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে, নাহলে তাঁদের জেলে ভরার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যদিও কোনও এজেন্সি বা সংস্থার নাম করেননি তৃণমূলনেত্রী। তাঁর সেই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল রাজ্য বিজেপি। সিবিআইয়ের কোন আধিকারিক তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে যোগদানের জন্য হুমকি দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তা জানতে চাইলেন গেরুয়া শিবিরের বঙ্গ শিবিরের ক্যাপ্টেন দিলীপ ঘোষ।

কাটমানির পাল্টা ব্ল্যাকমানি ফেরানোর দাবি তুললেন মমতা

বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আজ তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর দলের নেতাদের সিবিআই অধিকারিকরা হুমকি দিচ্ছেন, বিজেপির সঙ্গে যোগযোগ রাখতে, নাহলে চিটফান্ড কাণ্ডে জেলে ভরা হবে। আমি তাঁর কাছে ওই সিবিআই আধিকারিকের নাম বলার জন্য চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি”। তিনি আরও বলেন, “যদি তিনি কোনও আধিকারিকের নাম বলতে না পারেন, তাহলে তাঁকে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা থেকে বিকত থাকতে হবে”।

‘‘আমরা যদি এমন ভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাই...'': একুশের সভায় বিজেপিকে আক্রমণ মমতার

এদিনের সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তাঁর দলের বিধায়কদের ২ কোটি টাকা এবং পেট্রোল পাম্পের বিনিময়ে দলে টানতে চাইছে বিজেপি, তার উত্তরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, কেউই, এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীরও “বাজারমূল্য” এতটা উচ্চ নয়। দিলীপ ঘোষের কথায়, “কোনও তৃণমূল বিধায়কেরই এতটা উচ্চ বাজারদর নয়। এমনকী, তাঁরা যদি রাস্তাতেও দাঁড়িয়ে থাকেন, কেউই তাঁদের কেনার জন্য আগ্রহ দেখাবে না। এমনকী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও বাজারমূল্য এতটা  উচ্চ নয়”।

তৃণমূল নেতাদের হুমকি দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি, বিজেপিতে যোগ দিতে বলা হচ্ছে: মমতা

বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, এবারের শহিদ সমাবেশে সবচেয়ে কম লোকসমাগম হয়েছে। তিনি বলেন, “এটা পরিস্কার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন সাধারণ মানুষ”।

১৯৯৩-এ ২১ জুলাই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ১৩জন যুব কংগ্রেস কর্মীর। বাম জমানার  সেই ঘটনাকে সামনে রেখে প্রতিবছর শহিদ সমাবেশ পালন করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার সময় যুব কংগ্রেস নেত্রী ছিলেন তিনি।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.