This Article is From Oct 10, 2019

পুজোয় জনসংযোগ কতটা হল জানতে রাজ্যের রিপোর্ট চাইল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব

নেতা ও ক্যাডারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল উৎসবের মঞ্চকে ব্যবহার করে যত বেশি করে সম্ভব মানুষের কাছে বিজেপির (BJP) আদর্শ ও নীতিকে তুলে ধরতে হবে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

উৎসবের মরশুমে রাজ্যের শাসক দল ও গেরুয়া শিবিরের লড়াই জমে উঠেছিল।

এবছরের মতো দুর্গাপুজো (Durga Puja 2019) শেষ। এবার বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব রিপোর্ট চাইল বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ও রাজ্য নেতৃত্বের (State BJP) কাছে। পুজোয় বিজেপির প্রচারকার্য কোথায় কতটা করা গিয়েছে সেই নিয়েই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, দল নেতা ও ক্যাডারদের নির্দেশ দিয়েছিল উৎসবের মঞ্চকে ব্যবহার করে যত বেশি করে সম্ভব মানুষের কাছে বিজেপির আদর্শ ও নীতিকে তুলে ধরতে হবে। গেরুয়া শিবিরের সিদ্ধান্ত ছিল, পুজোমণ্ডপের বাইরে ১০,০০০-এরও বেশি স্টল দেওয়ার। সেই স্টলে তাদের আদর্শ প্রচারের পুস্তকের পাশাপাশি নাগরিক পঞ্জি ও নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে বইও রাখা হয়েছিল। সাধারণ মানুষকে এই বিষয়ে অবগত করার উদ্দেশ্যেই এই বই রাখা হয়েছিল স্টলে।

আরএসএস কর্মী ছিলেন জিয়াগঞ্জে স্ত্রী-পুত্র সহ খুন হওয়া প্রাথমিক শিক্ষক, দাবি বিজেপির

রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা সমস্ত জেলা ও রাজ্য স্তরের নেতাদের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছি কীভাবে উৎসবকে দলের জনসংযোগ বাড়ানোর কাজে লাগানো হয়েছে তা জানতে। আমরা আশাবাদী আগামী সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ রিপোর্ট পেয়ে যাব।''

Advertisement

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা জানান, নাগরিক পঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তাবিত এনআরসি নিয়ে জনমানসে আতঙ্কের পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

বিজয়ার আবহে রাজ্যে খুন প্রাথমিক শিক্ষক ও তাঁর পরিবার

Advertisement

ওই বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা জানাচ্ছেন, ‘‘সম্প্রতি আমাদের সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে আমাদের বৈঠকের সময় উনি উৎসাহ দেন রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রচারের ব্যাপারে। আমরা নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রচার করেছি এবং মানুষের মধ্যে নাগরিক পঞ্জি নিয়ে যে ভয় ও সংশয় রয়েছে, তা দূর করার চেষ্টা করেছি।''

উৎসবের মরশুমে রাজ্যের শাসক দল ও গেরুয়া শিবিরের লড়াই জমে উঠেছিল। দুই দলই প্রবল ভাবে বড় পুজোগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছে দলের প্রচার করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস ও বামফ্রন্টকে তিন ও চার নম্বরে ঠেলে দিয়ে গত কয়েক বছরে বিজেপিই হয়ে উঠেছে শাসক তৃণমূলের সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ।

Advertisement

২০১৯ লোকসভায় বিজেপি রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয়ী হয়। গত বার অর্থাৎ ২০১৪ সালে সেই সংখ্যা ছিল মাত্র ২। অন্যদিকে তৃণমূল ৩৪ থেকে নেমে এসেছে ২২-এ। দুই দলের মধ্যে আসনের ফারাক মাত্র চার।

দেৱুন ভিডিও

  .  



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement