Read in English
This Article is From Nov 12, 2018

আমরা চাই এই রাজ্য থেকে লড়ুন অমিত শাহঃ দিলীপ ঘোষ

রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এর ফলে এই রাজ্যের পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়ে যাবে সম্পূর্ণ নাটকীয়ভাবে”।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া
কলকাতা:

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব চায় ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা থেকে লড়ুন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এর ফলে এই রাজ্যের পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়ে যাবে সম্পূর্ণ নাটকীয়ভাবে”। তাঁর কথায়, “যদি নরেন্দ্র মোদী পুরী থেকে লড়াই করতে পারেন, তাহলে অমিত শাহ কেন কলকাতা থেকে লড়াই করতে পারবেন না? আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে গতবার মোদীজি উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে দাঁড়ানোর পর কী হয়েছিল?” যদিও, দিলীপ ঘোষের এই উক্তিকে ‘ফাঁকা বুলি' বলে নস্যাৎ করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের এক সদস্য রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে বলেন, “খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ রইল। বাংলায় এসে ৪২'টা আসনের যে কোনও একটা আসন থেকে লড়াই করে দেখান”।

অমিত শাহের কলকাতা থেকে নির্বাচনে লড়াই করার ব্যাপারে অথবা নরেন্দ্র মোদীর পুরী থেকে ভোটে দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও সরকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি। কিন্তু, দিলীপ ঘোষের কথায়, সম্প্রতি কলকাতায় যে যে কেন্দ্রীয় নেতা এসেছেন, তাঁদের কাছে বিজেপির সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা এই ইচ্ছাই ব্যক্ত করেছেন।

“আশা করব, আমাদের এই বার্তা অমিত শাহের কাছে পৌঁছে যাবে। আমি নিশ্চিত, উনি এই প্রস্তাবকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখবেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির কাছে প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ। এই রাজ্যকে বহুদিনই পাখির চোখ করেছি আমরা”, বলেন দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

এই আবেদনের পাশাপাশিই দিলীপ ঘোষ এই কথাটিও মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি যে, আগামী ডিসেম্বর থেকেই এই রাজ্যে বিজেপির নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে যাবে। তা শুরু হবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই। রাজ্যের তিন জায়গা থেকে হবে রথযাত্রা। যা, জানুয়ারির মাঝামাঝি কলকাতায় এসে মিলিত হবে।

আগামী ৫ ডিসেম্বর বীরভূম জেলার তারাপীঠ থেকে, আগামী ৭ ডিসেম্বর কোচবিহার জেলা থেকে এবং আগামী ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সাগর থেকে শুরু হবে বিজেপির রথযাত্রা।

Advertisement

“এগুলো আসলে এক-একটি ট্যাবলো। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য এবং এই রাজ্যের সরকারের ব্যর্থতা সম্বন্ধে সাধারণ মানুষকে অবগত করা হবে”, বলেন দিলীপ ঘোষ।

Advertisement