কলকাতা: ভাইফোঁটা হিন্দুদের একটি বড় উৎসব।অনেকে এই উৎসবকে ভ্রাতৃদ্বিতীয়াও বলে থাকেন। সাধারণত কালীপুজোর দু'দিন পরে কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে প্রতিটি ঘরে ঘরে এই উৎসব পালিত হয়। বাঙালি ও হিন্দুদের পঞ্জিকা অনুযায়ী, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিন ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়। তবে কোনও কোনও বাড়িতে নিয়মও ভিন্ন। তারা প্রতিপদে অর্থাৎ শুক্লপক্ষের প্রথম দিনে ভাইকে ফোঁটা দেন।
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এই উৎসবের নাম বদলে যায়। পশ্চিম ভারতে ভাইফোঁটাকে বলা হয় ভাইদুজ। আবার কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, গোয়া এলাকায় বলে ভাইবিজ। নেপালে ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে এই উৎসব পরিচিত ভাইটিকা নামে। হিন্দুদের মধ্যে বিজয়াদশমীর পর এটিই সবচেয়ে বড় উৎসব। এ দিন পরিবারের সদস্যেরা একসঙ্গে মিলিত হন।
সাধারণত একটি কাঁসা বা পিতলের থালায় ঘি, চন্দন,দই এবং কাজল নেওয়া হয়। পাশে রাখা হয় ধান-দুর্বা। শাঁখ বাজিয়ে উলুধ্বনি করে ওই তিনটি দ্রব্য মিশিয়ে ভাইকে ফোঁটা দেন বোন। তার পরে যিনি বড় তিনি অপরকে ধান দুর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করেন। ফোঁটা শেষে বোন প্রদীপের আঁচে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করে তাকে মিষ্টি, নারকেল ও পান খেতে দেয়।
ভাইফোঁটার মন্ত্র:
ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,
যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা,
আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা॥
যমুনার হাতে ফোঁটা খেয়ে যম হল অমর।
আমার হাতে ফোঁটা নিয়ে ভাইও হোক অমর॥