বছরের প্রথম দিনে কালীঘাট মন্দিরে ভিড় জমান ভক্তরা
কলকাতা: প্রবল দাবদাহ। অজস্র অশান্তি রয়েছে, হেরে যাওয়া রয়েছে বাঙালির। তার মধ্যেই ফের একটি নতুন বঙ্গাব্দ শুরু হল। এসে গেল ১৪২৬! ফেসবুক এবং স্মার্টফোনে বেঁচে থাকা এই যুগের মানুষদের কাছে সময়ের অমোঘ নিয়মেই হয়তো হালখাতার আবেদন আগেরমতো আর নেই। নেই পাড়ার কাপড়ের বা গয়নার দোকানে গিয়ে মিষ্টি খেয়ে, নরম পানীয় খেয়ে, ক্যালেন্ডার হাতে বাড়ি ফেরার যে নিখাদ আবেদন, তাকে আকুলভাবে কাছে টেনে নেওয়াও। তবে, একেবারেই কি নেই? খাস কলকাতায় পয়লা বৈশাখের আবেগটি মুখ্যত বাঙালি রেস্তোরাঁয় ভুরিভোজ এবং নতুন শাড়ি বা পাঞ্জাবিতে সুন্দর করে সেজে সেলফি তোলার মধ্যে সীমাবদ্ধ হলেও, মফসসলে পাড়ার দোকানগুলোর এখনও অনেক কাকু বা জেঠুরা অপেক্ষা করে থাকেন এই দিনটির জন্য। হালখাতা করে সমস্ত বকেয়া পাওয়ার পর নতুন খাতা খুলবেন বলে।
তবে আপ্যায়নের পদ্ধতিতে অনেক বদল এসেছে। আগের মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে কার্ড পাঠানোর চলও কমেছে কিছুটা। আমন্ত্রণপত্র হোয়াটসঅ্যাপ করে দেওয়াই রেওয়াজ।
দিনের শুরু থেকেই আজ ভিড় ছিল কালিঘাট ও দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলকে শুভেচ্ছা জানান পয়লা বৈশাখের।
প্রসঙ্গত, ১৫৪৮ খ্রিস্টাব্দে এই বঙ্গাব্দ বা বাংলা ক্যালেন্ডারের সূচনা করেন মোগল সম্রাট আকবর। এই ক্যালেন্ডারের নাম প্রাথমিকভাবে দেওয়া হয়েছিল- ‘তারিখ-ই-ইলাহি'।
দিনটি শেষ হতে চলেছে। নতুন বছরের নতুন সন্ধ্যা শুরু হবে আরেকটু পরেই। তার মধ্যেই অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে পয়লা বৈশাখ-সংক্রান্ত ‘শুনব' বার্তাটি। ‘শুভ নববর্ষের' কাটছাঁট করা সংস্করণ। সারাক্ষণ বলে যাওয়া দেখতেই যখন ক্রমে অত্যন্ত বিপজ্জনকভাবে অভ্যস্ত হয়ে উঠছি আমরা, সেইসময় এই ‘শুনব' বার্তাটি নতুন বছরে একটি নতুন তর্জনীর জন্ম দিক।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)