This Article is From Aug 15, 2018

আবারও টুইট-তোপ মমতার, নাম না করে বিজেপি আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

নাম না করে ফের একবার বিজেপিকে নিশানা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আবারও টুইট-তোপ  মমতার, নাম না করে বিজেপি আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

সাংবিধানিক সংস্থার মর্যাদা  ও গরিমা যাতে অটুট থাকে তার জন্য সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

কলকাতা:

নাম না করে ফের একবার বিজেপিকে নিশানা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে মঙ্গলবার মাঝরাতে টুইট করেন মমতা। সেখানেই তিনি  লেখেন  সাংবিধানিক সংস্থা এবং দেশের মানুষকে স্বাধীন থাকতে দেওয়া উচিত।  সেটাই স্বাধীনতার মর্মার্থ। যে স্বপ্ন নিয়ে সংবিধান লেখা হয়েছিল তা পূরণ হওয়া উচিত। আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে  বিভিন্ন সাংবিধানিক সংস্থার ওপর অন্যায় ভাবে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলে দীর্ঘ দিন ধরে সরব বিরোধী দলগুলি। মমতা নিজেই বারবার  বলেছেন,  সিবিআই বা ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলগুলিকে ভয় দেখাচ্ছে মোদী সরকার। স্বাধীনতা দিবসের টুইটেও সেই ব্যাপারটাকে ঘুরপথে তুলে আনলেন মমতা।         

72 তম স্বাধীনতা দিবসে অনুষ্ঠান পালনে এবার চমক দিয়েছে রাজ্য। রেড রোড দাঁপিয়েছে  শুধু মহিলাদের নিয়ে তৈরি পুলিশ বাহিনী। সুসজ্জিত বেশে প্যারেড করলেন মহিলা পুলিশকর্মীরা। তাছাড়া ওড়িশার পুলিশও পা মেলায় প্যারেডে। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রায় সমস্ত মন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্টানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।  বিভিন্ন দপ্তরের সাচিব থেকে শুরু করে আধিকারিকরাও ছিলেন অনুষ্ঠানে। ক্ষমতায় আসার পর 2011 সাল থেকে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও প্যারেডকে অন্তর্ভুক্ত করেন মমতা। সেই থেকে চলে আসছে  ব্যাপারটা। প্রতি বছরই এই প্যারেডে একাধিক চমক দেয় রাজ্য প্রশাসন।

এই প্রথম নয় এর আগেও সাংবিধানিক সংস্থার মর্যাদা ও গরিমা যাতে অটুট থাকে তার জন্য সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।,মাস খানেক আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ  কেজরিওয়াল প্রশাসনিক অসহয়তার অভিযোগ তুলে উপরাজ্যপালের বাড়িতে অবস্থান করেন। সে সময় নীতি আয়গের বৈঠকে যোগ দিতে  দিল্লি গিয়েছিলেন মমতা। আর তখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীরও পাশে দাঁড়ান মমতা।

অন্যদিকে এদিন  প্রথা মেনে ব্যরাকপুরের গান্ধি ঘাটের অনুষ্ঠানে যান রাজ্যপাল কেশরিনাথ ত্রিপাঠি। তারপর মধ্য কলকাতার মেয়ো রোডের গান্ধি মূর্তিতেও মাল্যদান করেন রাজ্যপাল।              

.