This Article is From Jun 14, 2019

কাজে ফেরার জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের ৪ ঘন্টার সময়সীমা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

এসএসকেএমে গিয়ে বিক্ষোভরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সামনে “বিচার চাই” স্লোগান দেন বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা।

কাজে ফেরার জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের ৪ ঘন্টার সময়সীমা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতা:

জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন চিকিৎসকরা। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি হাসপাতালে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।এই অবস্থায় বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের এবার ৪ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যেরস্বাস্থ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata  Banerjee)। এসএসকেএম হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিক্ষোভরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে বলেন তিনি। তাঁর সামনে “বিচার চাই”(We Want Justice) স্লোগান দেন বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা। যেসমস্ত চিকিৎসকরা কাজ করছেন না, তাঁদের অবিলম্বে হোস্টেল ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata  Banerjee)। তিনি বলেন, “তারা বহিরাগত। তাদের কোনওভাবেই সমর্থন করবে না সরকার। যে সমস্ত চিকিৎসক কর্মবিরতিতে রয়েছেন, আমি তার নিন্দা করছি। কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়, যদিও তারপর, কাজ চালু রাখেন পুলিশ কর্মীরা”।

এনআরএস কাণ্ডের জেরঃ সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগ

এনআরএসে (NRS) এক রোগীর মৃত্যু হলে তাঁর আত্মীয়দের হাতে নিগৃহীত হন এক জুনিয়র চিকিৎসক, তারই প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালনে যান চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জের সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল হাসপাতালের আউটডোর বিভাগ। ঘটনার সূত্রপাত, সোমবার, ওইদিন রাতে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে (NRS) এক রোগীর মৃত্যু হয়। এরপরেই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে তাণ্ডব শুরু করেন মৃতের পরিবারের আত্মীয়রা।সেখানেই প্রথমে বচসা এবং পরে এক জুনিয়র চিকিৎককে মারধরের অভিযোগ ওঠে মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে।ওই জুনিয়র চিকিৎসকের মাথায় আঘাত লাগে, গুরুতর অবস্থায় তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসাপাতাতেল চিকিৎসাধীন।

জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, ব্যাহত চিকিৎসা পরিবেষা

সেই ঘটনার পর থেকেই কাজ বন্ধ করে প্রতিবাদে সামিল হল জুনিয়র চিকিৎসকরা।উপযুক্ত নিরাপত্তা না দিলে কাজ করবেন না, বলে হুঁশিয়ারি দেন চিকিৎসকরা। সহকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় নি বলেও অভিযোগ করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিকে, জুনিয়র চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে ব্যাহত হয় চিকিৎসা পরিষেবা।

জুনিয়র চিকিৎসকদের যাতে বুঝিয়ে কাজে ফেরানো যায়, তার জন্য আধিকারিকরা চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি। তিনি বলেন, “তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা, অন্যান্য আধিকারিক সহ আমায় পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমরা তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখছি, আশা করি সমস্যার দ্রুত সমাধান করা যাবে”।

.