এদিন প্রধানমন্ত্রী সব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বৈঠক করেন। (ফাইল ছবি)
কলকাতা: "কলকাতা বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক বিমান প্রবেশ থামাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে আবেদন করেছি" শুক্রবার এমনই অনুরোধ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) সব অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বৈঠক করেন। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আয়োজিত হয় সেই বৈঠক। শুক্রবার সেই বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Bengal CM)। সেই সময় তিনি বলেন, "আমি কেন্দ্রকে বলেছি অসংগঠিত ক্ষেত্র করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের জেরে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত। তাই বিপর্যয় দূর হলে সেই ক্ষেত্রের জন্য ত্রাণের ঘোষণা করুক কেন্দ্র।" সেই বৈঠক প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "কলকাতা বিমানবন্দরে সব আন্তর্জাতিক বিমানের (International Flight) প্রবেশ থামাতে আমি প্রধানমন্ত্রীজিকে আবেদন করেছি। বাংলা তিনটি দেশের সীমানা। গত এক সপ্তাহে লক্ষাধিক বাংলার মানুষ, রাজ্যে ফিরেছে। এখনও আন্তর্জাতিক বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে নামছে।"
করোনা সংক্রমণে ভারতে চতুর্থ মৃত্যু হল পঞ্জাবে
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "আমি চাই নার্সিংহোমগুলো সস্তায় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করুক। এমনকি, প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল সামগ্রী পাঠাতে আমি কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছি।" .
এদিকে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে যথেষ্ট সাহায্য মিলছে না বলে অভিযোগও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন এই সঙ্কট মোকাবেলায় নিজস্ব সম্পদের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে রাজ্যকে। বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্যে রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলির সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ এই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে যুঝতে আপাতত দুই লক্ষ মাস্ক ও ৩০,০০০ গ্লাভস সরবরাহ করবে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার ১০,০০০ থার্মাল স্ক্যানার এবং ৩০০ টি ভেন্টিলেশন মেশিনও অর্ডার করেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বাড়ছে আতঙ্ক, কলকাতায় মিলল দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তের সন্ধান
করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, এই অভিযোগ উঠলে যথেষ্ট কড়া ভাষায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, কালোবাজারি বরদাস্ত করবে না সরকার। অনেকে গুজব রটিয়ে দিচ্ছেন, বাজারে জিনিস পাওয়া যাবে না। দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন অসাধু কিছু ব্যবসায়ী। তাই জিনিসের দাম যাতে না বাড়ে সেদিকে নজর দিতে রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)