সংক্রমণ মোকাবিলায় চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ভুমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
কলকাতা: করোনা সংক্রমণ (Covid-19) প্রতিরোধে ইতিমধ্যে ৩১ মার্চ পর্যন্ত গোটা রাজ্যে লক ডাউন। মঙ্গলবার এই ঘোষণা (Statewide Lock down) করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতির উদ্দেশে ভাষণে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে গোটা দেশকে লক ডাউন করবে কেন্দ্র। এদিন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যে আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২৭ মার্চ পর্যন্ত শুধু পুর এলাকায় থাকবে লক ডাউন। এদিন আবার এ রাজ্যে নতুন করে দু'জনের দেহে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। মিশর ও লন্ডন থেকে শহরে ফেরার ইতিহাস আছে ওই দু'জনের। এনআরএসে চিকিৎসাধীন করোনা সংক্রমণে মৃত দমদমের সেই প্রৌঢ়ের সহকর্মীও। এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
এই পরিস্থিতিতে এদিন বেলেঘাটা আইডি-সহ শহরের সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী (Bengal CM visits Isolation Centers in City)। কথা বলেন স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে। তার সঙ্গে ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার (CP) অনুজ শর্মা। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী সপার্ষদ টালিগঞ্জের এমআর বাঙ্গুর, মধ্য কলকাতার মেডিকেল কলেজ, এনআরএস (NRS and RG Kar Hospitals) হাসপাতাল আর উত্তর কলকাতার আরজি কর পরিদর্শন করেন। রাজারহাটের কোয়ারান্টাইন সেন্টারও পরিদর্শন করেছেন তিনি। সংক্রমণ মোকাবিলায় চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ভুমিকার ভূয়সী প্রশংসা (CM lauds Medical faternities action) করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
কলকাতার করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর পর পরীক্ষা হাসপাতালের ১০ কর্মীর, ফলাফল নেগেটিভ
এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ বেলেঘাটা আইডি হাসাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসাধীন রোগীদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ১০০তি শয্যা সংযুক্তিকরণের স্বাস্থ্য দফতরের যে সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে সুপারের সঙ্গে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বেলেঘাটা আইডি-র সুপারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, অন্য সরকারি হাসপাতালের শয্যা বাড়িয়ে তাদের ভার কিছুটা লাঘবের চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই হাসপাতালে ভর্তি ৮ জন করোনা সংক্রমিত রোগীর শারীরিক বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আইওসি চিফ ও জাপান প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনার পর অলিম্পিক্স পিছনোর নিশ্চয়তা
এদিকে, “মধ্যরাত থেকে দেশজুড়ে লকডাউন। এটা ভারতবাসীকে রক্ষা করার জন্য।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার রাত আটটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এই কথা ঘোষণা করলেন। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এমনই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার রাত আটটাতেও প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি ‘জনতা কার্ফু'-র ডাক দেন গত রবিবার। সেই ১৪ ঘণ্টার কার্ফুর পর থেকে গোটা দেশেই প্রায় কার্যত লকডাউন হয়েছিল। অবশেষে এদিন প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, রাত বারোটার পর থেকে গোটা দেশ সম্পূর্ণ লকডাউনে চলে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী সকলের কাছে আর্জি জানান, বাড়িতে থাকতে। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে প্রতিটি ভারতীয়, প্রতিটি পরিবারের জন্য।
তিনি আরও জানান, এর জন্য হয়তো দেশকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। কিন্তু দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য এটাই করণীয় বলে জানান তিনি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)