This Article is From May 25, 2019

দলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চাইলেন মমতা, কিন্তু কী বলছে দল

তাঁর দাবি পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়ে বিজেপি ভোট কিনেছে। পরিবারে পাঁচ জন সদস্য থাকলে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

হিন্দু মুসলমান ভোট ভাগাভাগি করেই ওরা জিতেছে। আমি কখনও এসব করি না

কলকাতা:

ভোটে হারার পর পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata Banerjee)। দলীয় বৈঠকের পর নিজেই একথা জানালেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। কিন্তু তৃণমূলের নেতারা  সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। মমতা বলেন চেয়ারের আমাকে প্রয়োজন, আমার চেয়ারের প্রয়োজন নেই। মমতার অভিযোগ পাঁচ মাস রাজ্য সরকারকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি।  তিনি বলেন, এত কিছু  করেও  আমাদের ভোট চার শতাংশ বেড়েছে। ওরা জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে। তবু গণতন্ত্রে সংখ্যা  জরুরি বিষয়। মোদীজিকে (PM Modi) অভিনন্দন। কিন্তু মনে  রাখতে হবে সাম্প্রদায়িকতা বীজ ছড়িয়েছে জিতেছে বিজেপি (BJP)।  হিন্দু মুসলমান ভোট ভাগাভাগি করেই ওরা জিতেছে। আমি কখনও এসব করি না। দরকার হলে একা থাকতে  রাজি আছি।  আমি নির্বাচন কমিশনের হাতে ক্ষমতাহীন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম।  ভাটপাড়ায় দাঙ্গা চালানোর সুযোগ করে দিয়েছে কমিশন। তাঁর দাবি পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়ে  বিজেপি ভোট কিনেছে। পরিবারে পাঁচ জন সদস্য থাকলে ২৫ হাজার টাকা  দেওয়া হয়েছে।  

Live Updates: মানুষের কাজ আমি করে দিয়েছি। এখন দলে বেশি সময় দেব: মমতা          

 নির্বাচন কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করেছে বলে  অভিযোগ করেন মমতা। তাঁর দাবি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং সরকারি আধিকারিকদের ব্যবহার করে টাকা ঢুকিয়ে দিতে পুলিশ আধিকারিকদের বদল করেছে কমিশন। মমতা বলেন, আমরা এখনও রাজ্যে সংখ্যা গোরিষ্ঠ দল তবু বিজেপি ভাঙচুর করেছে। কংগ্রেস কখনও কখনও আত্নসমর্প করে।আমি করি না। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন পাকিস্তানকে সাহায্য করছে বিরোধীরা। সেই  বিষয়ের উল্লেখ  করে মমতা  বলেন,  পাকিস্তানকে শপথ গ্রহণে ডাকা হচ্ছে আর নির্বাচনের সময় সবাইকে পাকিস্তানের চর বলা হয়েছে। এই দ্বিচারিতার কারণ কী? ইভিএমে কারচুপি হয়েছে বলে মমতার অভিযোগ। তাঁর প্রশ্ন পাঁচ ছটা রাজ্যে বিরোধীরা একটা আসন পায়নি। সেটা হয় কী করে হয়? ইভিএমে কারচুপি করা হয়েছে অভিযোগ মমতার। যে সমস্ত আসনে  আমরা এক লক্ষ ভোটের কমে হেরেছি সেগুলো নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।

এর পাশাপাশি কয়েকটি আসনের পরাজিত প্রার্থীকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিলেন মমতা। মালদার তৃণমূলের সভাপতি হলেন মৌসম বেনজির নূর। একই ভাবে পদ পেলেন অর্পিতা ঘোষ ও বীরবাহা সোরেন। লোকসভায় তৃণমুলের দলনেতা নির্বাচিত হলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গলমহলের দায়িত্ব পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। আগে এই দায়িত্বে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য মন্ত্রিসভায় নিজের দপ্তর ফিরে পাচ্ছেন সুব্রত মুখোপধ্যায়। 

একটি প্রসঙ্গে  তিনি বলেন আমি নাকি তোষণ করি। বেশ করবো  ইফতারে যাব। যে গরু দুধ খায় তার লাথি খাওয়া যায়।      

.